রুম হিটার ব্যবহার করছেন? এই সাবধানতাগুলো মেনে চলুন
সামনে শৈত্যপ্রবাহ নাকি আবার আসবে। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে শীতের প্রকট বেশি। শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে অনেকেই আজকাল রুম হিটার ব্যবহার করেন। রুম হিটার ব্যবহার আরামদায়ক হলেও বিভিন্ন স্বাস্থ্যসমস্যার পাশাপাশি এর অসচেতনতামূলক ব্যবহারে ঘটতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।
রুম হিটারের সমস্যা
কিছু রুম হিটারে বিষাক্ত গ্যাস যেমন কার্বন মনোক্সাইড তৈরি হয়, যা মাথাব্যথা, ঘুমঘুম ভাব ও বমির উদ্রেক করে।
রুম হিটার ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না করলে গরম হয়ে আগুন ধরে মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে।
রুম হিটার ব্যবহারে রুমের ভেতরে আর্দ্রতা কমে যায়, ফলে হাত পায়ের চামড়ার শুষ্কতা কমে বিভিন্ন চর্মরোগ দেখা দেয়।
গরম বাতাসের জন্য চোখ, হাত, পায়ের চামড়ায় প্রদাহ দেখা যেতে পারে। যার ফলে লাল হয়ে চুলকানি হয়।
কিছু রুম হিটার কেরোসিন বা গ্যাসে চলে, যা ঘরের বাতাসে সালফার অক্সাইড ও নাইট্রোজেন ডাই–অক্সাইড গ্যাস তৈরি করে। যার ফলে শ্বাসপ্রশ্বাসের বিভিন্ন অসুখ যেমন অ্যাজমা ও ব্রংকাইটিস বেড়ে যায়।
কী করা যায়
সারা রাত রুম হিটার চালানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
সহজেই আগুন ধরতে পারে, এমন সামগ্রীগুলো রুম হিটার থেকে ৩ ফুট দূরে রাখতে হবে।
যে ঘরে রুম হিটার চলবে, সেখানে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা আছে কি না, নিশ্চিত হয়ে রুম হিটার কিনতে হবে। তাহলে অতিরিক্ত গরম হয়ে আগুন ধরার আশঙ্কা কমে যাবে।
রুম হিটার শিশুদের নাগালের বাইরে রাখতে হবে।
তেলে চলা হিটারে বিষাক্ত গ্যাস তৈরি হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়। রুমের ভেতরের আর্দ্রতাও ঠিক থাকে।
রুম হিটারের নিচে কার্পেট রাখা যাবে না।
হিটার নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে এবং এমনভাবে সংরক্ষণ করতে হবে, যেন ধুলাবালু সংস্পর্শে কম আসে।
হিটারে কার্বন মনোক্সাইড পরিমাপের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
ডা. শিমু আক্তার, সহকারী অধ্যাপক, ফার্মাকোলজি অ্যান্ড থেরাপিউটিকস বিভাগ, জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ, বাজিতপুর