এই ১০ মুহূর্তে পানি পান করা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো

প্রতিদিন গড়ে অন্তত তিন লিটার পানি পানের পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে
ছবি : কবির হোসেন

প্রতিদিন গড়ে অন্তত তিন লিটার পানি পানের পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে অনেকেই পানি পান করেন কেবল তিন বেলা খাওয়ার পর। মাঝের সময়গুলোয় খুব একটা পানি পান করা হয় না। এভাবে দেহে পানির ঘাটতি হয়। ফলে দেহের কোষ পানিশূন্য হয়ে পড়ে। ক্লান্তি বাড়ে। মেজাজ বিগড়ায়। স্মৃতিধারণ ক্ষমতায়ও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। জেনে নিন কোন কোন সময় পানি পানের অভ্যাস গড়ে তোলা ভালো।

১. ঘুম থেকে উঠে: একেবারে এক বোতল পানি পান বা ‘ডিটকস ওয়াটার’ পান করতে হবে, এমন বাঁধাধরা কোনো নিয়ম নেই। তবে ঘুম থেকে উঠে খানিকটা পানি পান করা ভালো।

২. যখন ঘামছেন: ঘাম হওয়া মানেই শরীর থেকে পানি ও লবণ বেরিয়ে যাওয়া। তাই ঘাম হলেই পানি ও তরল খাবার খেতে হবে।

৩. শরীরচর্চায়: শরীরচর্চার সময় ১০ থেকে ১৫ মিনিট অন্তর ১৫০ থেকে ৩০০ মিলিলিটার পানি পান করা প্রয়োজন। শরীরচর্চা শেষে আরও ৪০০ থেকে ৫০০ মিলিলিটার পানি পান করতে হবে।

আরও পড়ুন

৪. দিনের কাজের মাঝে: কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন? এক গ্লাস পানি পান করে নিন। চা বা কফি নয়, পানি পানেই চাঙা হয়ে উঠবেন। কাজের বিরতিতেও চুমুক দিন পানির গ্লাসে।

৫. গুরুত্বপূর্ণ কাজের সময়: গুরুত্বপূর্ণ কাজে যখন আপনি ব্যস্ত, এরই ফাঁকে একটু পানি পান করতে ভুলবেন না। মনোযোগ, কর্মোদ্যম, পারিপার্শ্বিকের সঙ্গে সমন্বয়—সবকিছুর জন্যই মস্তিষ্কের কোষগুলোর প্রয়োজন পর্যাপ্ত পানি।

৬. খাওয়ার আগে-পরে: খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পানি পান করতে পারেন। খাওয়া শেষ করার আধা ঘণ্টা পরেও পানি পান করুন।

৭. ক্ষুধা লাগলে: খাবার সময় ছাড়াও তো ক্ষুধা লাগে। এমন সময়ে পানি পান করতে পারেন। মস্তিষ্কে তৃষ্ণার অনুভূতিও অনেক সময় ক্ষুধার মতো মনে হতে পারে। পানি পান করে দেখুন। কয়েক মিনিট পর ক্ষুধা মিটে যেতে পারে।

আরও পড়ুন

৮. মাথাব্যথা ও অন্যান্য অসুস্থতায়: মাথাব্যথা করলে পানি পান করুন। পানিশূন্যতা মাথাব্যথার কারণ। বিশেষত বারবার মাইগ্রেনের ব্যথায় ভোগেন, এমন ব্যক্তির অবশ্যই নিজের সঙ্গে পানির বোতল রাখা উচিত সব সময়। এ ছাড়া জ্বর, বমি কিংবা পাতলা পায়খানা হলে সবারই পানি পান করতে হবে পর্যাপ্ত।

৯. মাসিকের আগে, মাসিকের সময়: মাসিকের আগে এবং মাসিকের সময় অনেকেই অস্বস্তিকর অনুভূতিতে ভোগেন। মাথাব্যথা হয়, তলপেটেও ব্যথা হয়। পর্যাপ্ত পানি পানে এসব সমস্যা কমিয়ে আনা সম্ভব।

১০. বিমান ভ্রমণে: বিমানের পারিপার্শ্বিকতার কারণে আপনি পানিশূন্য হয়ে পড়তে পারেন। তাই বিমানে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। বিমানে ওঠার সময় খালি ফ্লাস্ক সঙ্গে নিতে পারেন, যেন ভেতরে গিয়ে প্রয়োজনমাফিক পানি ভরে নেওয়া যায়।