একটি টুথব্রাশ কত দিন ব্যবহার করবেন?

শেষ কবে টুথব্রাশ বদলেছেন? এই প্রশ্নের উত্তর যদি হয়, ‘মনে নেই’, তবে আপনার উচিত হবে আজই নতুন একটি টুথব্রাশ কেনা। দাঁত ও দাঁতের সুস্থতা নিয়ে আমরা যতটা চিন্তিত, দাঁত পরিষ্কার করার টুথব্রাশ নিয়ে ততটাই উদাসীন। অথচ বিষয় দুটি গভীরভাবে সম্পর্কিত।  

দাঁত ও মুখের যত্ন নিয়ে অনেকের ভেতরেই একটা উদাসীন মনোভাব কাজ করে। ‘নিয়মিত দুই বেলা দাঁত মাজছি, এটুকুই তো যথেষ্ট’—এমন মনোভাব নিয়েও বসবাস করেন অনেকে। তবে সুস্থ জীবনযাপনের জন্য দাঁতের যত্ন সবচেয়ে বেশি জরুরি। প্রতিটি খাদ্যদ্রব্য আগে দাঁতের সংস্পর্শে গিয়ে তারপর প্রবেশ করে আমাদের শরীরে। তাই খাদ্যের পুষ্টিতে মনোযোগ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দাঁতের যত্নেও সমান গুরুত্ব দিতে হবে।

দাঁত ও দাঁতের সুস্থতা নিয়ে আমরা যতটা চিন্তিত, দাঁত পরিষ্কার করার টুথব্রাশ নিয়ে ততটাই উদাসীন। অথচ বিষয় দুটি গভীরভাবে সম্পর্কিত
ছবি: পেক্সেলস

অনেক ক্ষেত্রেই দাঁতের অযত্ন থেকে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা যায়। হৃদ্‌রোগ, ডায়াবেটিসের মতো রোগের সংক্রমণ হতে পারে কেবল দাঁতের অযত্ন থেকে। আর এই দাঁতের অযত্নের অন্যতম বড় কারণ হতে পারে পুরনো ও অচল টুথব্রাশ ব্যবহার করা।
কীভাবে বুঝবেন টুথব্রাশ নষ্ট হয়ে গেছে?


আপাত দৃষ্টিতে দাঁত মাজার ব্রাশ নষ্ট হয়েছে কি না, বোঝা বেশ কঠিন। তবে টুথব্রাশের ডাঁটগুলো নেতিয়ে পড়লে বা নরম হয়ে গেলে ধরে নিতে হবে ব্রাশটি নষ্ট হওয়ার পথে রয়েছে।

প্রতি তিন মাস অন্তর দাঁত মাজার ব্রাশ বদলানো উচিত
ছবি: পেক্সেলস

কত দিন পর পর দাঁত মাজার ব্রাশ বদলানো প্রয়োজন?

প্রতি তিন মাস অন্তর দাঁত মাজার ব্রাশ বদলানো উচিত। তবে ব্যক্তিভেদে সময় কমেও আসতে পারে। তবে কোনোভাবেই তিন মাসের বেশি একটি টুথব্রাশ ব্যবহার করা উচিত নয়।


এছাড়াও কোনো অসুস্থতা, বিশেষ করে ভাইরাল রোগ থেকে সেরে ওঠার পর অবশ্যই টুথব্রাশ বদলে ফেলবেন। বিশেষ করে মৌসুমি জ্বর, কাশি, ঠান্ডা থেকে সেরে ওঠার পর যত দ্রুত সম্ভব টুথব্রাশ বদলে ফেলা উচিত। কারণ, রোগ সেরে গেলেও রোগের জীবাণু লেগে থাকতে পারে টুথব্রাশে।

ব্রাশ পরিবর্তন না করলে কী হবে?


নিয়মিত বিরতিতে টুথব্রাশ পরিবর্তন না করলে ব্রাশের কার্যকারিতা কমতে থাকে। ঠিকভাবে দাঁত পরিষ্কার হবে না। দাঁতের কোনায় খাবারের কণা ও জীবাণু জমে থাকতে পারে।


যেভাবে ব্রাশের যত্ন নেবেন

 
অধিকাংশ বাসাতেই পরিবারের সব সদস্যের ব্রাশ একটি পাত্রে সাজানো থাকে। এতে করে একজনের ব্রাশ থেকে রোগজীবাণু অন্য আরেকজনের টুথব্রাশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যে কারণে ব্রাশ করার পর প্রতিটি টুথব্রাশ ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।
দাঁত মাজার পর খুব ভালোভাবে ব্রাশ পরিষ্কার করতে হবে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত এক দিন গরম পানি দিয়ে ব্রাশ পরিষ্কার করতে হবে। এতে করে ভেতরে জমে থাকা জীবাণু পরিষ্কার হয়ে যাবে।  


তথ্যসূত্র: সিএনবিসি