যেসব খাবার মাইগ্রেনের যন্ত্রণা বাড়ায়

মাইগ্রেনের যন্ত্রণা ভুক্তভোগীমাত্রই জানেন। মাইগ্রেন শুরু হলে বমি বমি ভাব ও মাথা ঘোরার সঙ্গে শুরু হয় তীব্র মাথাব্যথা। স্নায়ুবিদেরা মাইগ্রেনের আসল কারণ নিয়ে এখনো বেশ দ্বিধান্বিত। তবে কিছু বিশেষ খাবার মাইগ্রেনের যন্ত্রণা বাড়িয়ে দিতে পারে বলে তাঁরা মনে করেন

মাইগ্রেনের যন্ত্রণা ভুক্তভোগীমাত্রই জানেনছবি: পেক্সেলস

চকলেট

চকলেট তৈরি হয় কোকোবীজ থেকে। এই কোকো বা চকলেট খেলে তা আমাদের শরীরে সেরোটোনিনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। সেরোটোনিন একপ্রকার নিউরোট্রান্সমিটার। এটি মাইগ্রেনের যন্ত্রণা বাড়াতে ভূমিকা রাখে। চকলেট বা চকলেট–জাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে ট্রিপ্টোফ্যান নামের যৌগ থাকে। এই ট্রিপ্টোফ্যানও মাইগ্রেনের ব্যথা বৃদ্ধির জন্য দায়ী।

ক্যাফেইন–জাতীয় পানীয়

মাত্রাতিরিক্ত ক্যাফেইন–জাতীয় পানীয় খেলে মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়তে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বলছে, দিনে কোনোভাবেই ৪০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করা যাবে না। এর চেয়ে বেশি গ্রহণ করলে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা বাড়তে পারে। আবার কফি খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিলে মাথাব্যথা বেড়ে যাওয়ার শঙ্কাও থাকে। তাই দৈনিক ক্যাফেইন গ্রহণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। খুব ভালো হয় যদি বিকেলের পরে কফি একেবারেই না খাওয়ার অভ্যাস করেন। বিকেলের পরে কফি খেলে রাতে ঘুম আসতে দেরি হতে পারে, যা মাইগ্রেনের সমস্যা আরও জটিল করে তোলে।

পুরোনো পনির

পুরোনো পনিরে থাকে টাইরামিন। পনির যত বেশি পুরোনো হবে, তাতে তত বেশি টাইরামিন থাকবে। এই টাইরামিন রক্তচাপ পরিবর্তন করে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

প্রক্রিয়াজাত মাংস

প্রক্রিয়াজাত মাংস নাইট্রেট ও নাইট্রাইট যৌগ বহন করে। এই নাইট্রেট যৌগ নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত হতে পারে। নাইট্রিক অক্সাইড রক্তপ্রবাহের মাত্রা পরিবর্তন করে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা বাড়িয়ে দিতে পারে।

না খেয়ে থাকাও একটি কারণ

এ ছাড়া অভুক্ত থাকলে বাড়তে পারে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা। অনেক সময় আমরা সকালে বা রাতে না খেয়ে থাকি। দিনে এক বেলা বা দুই বেলা না খেয়ে থাকলে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা বাড়তে পারে। অভুক্ত থাকলে শরীরে গ্লুকোজের মাত্রা পরিবর্তিত হয়। এই গ্লুকোজের মাত্রায় সামান্যতম বিচ্যুতি দেখা দিলে আমাদের মাথা ব্যথা বেড়ে যায়।

সূত্র: হাফিংটন পোস্ট

আরও পড়ুন