দৌড়ানোর জন্য কোন রানিং শু পরবেন

শরীরসচেতন মানুষের অন্যতম পছন্দের ব্যায়াম দৌড়। যাঁরা সময়-সুযোগ পান না, তাঁরা জিমে বা বাড়িতে ট্রেডমিলেই দৌড় সেরে নেন। যাঁদের সুযোগ আছে, তাঁরা দৌড়ানোর জন্য বেছে নেন বাড়ির কাছের পার্ক বা মাঠ। তবে আপনি যেখানেই দৌড়ান আর যেভাবেই দৌড়ান, সে জন্য ভালো এক জোড়া রানিং শু খুবই প্রয়োজন। এগুলোর আবার রকমফের আছে। তার থেকে বেছে নেওয়া দরকার আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী। সে জন্য জেনে নিন কোন রানিং শুর কী বিশেষত্ব।

স্ট্যাবিলিটি রানিং শু

এই জুতাগুলো এমনভাবে ডিজাইন করা হয়, যাতে দৌড়ানোর সময় বিশেষ সহায়তা পাওয়া যায়। সে জন্য সোলের মাঝামাঝি রাখা হয় অতিরিক্ত কুশন। বিশেষ করে যাঁরা দীর্ঘক্ষণ দৌড়াতে চান, তাঁদের জন্য এই জুতা ভালো। আবার যাঁদের পায়ের পাতা একটু বাইরের দিকে বাঁকানো, তাঁদের জন্যও এই জুতা শ্রেয়।

লাইটওয়েট রানিং শু

নাম দেখেই বোঝা যায়, এই জুতার বিশেষত্ব হলো এগুলো খুবই হালকা। তাই পরতেও আরামদায়ক। স্বাভাবিকভাবেই বানানো হয় হালকা উপাদান দিয়ে। অনেকেই ভারী জুতা পরে দৌড়াতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। তাঁদের জন্যই এই জুতা।

ট্রেইল রানিং শু

এই জুতাগুলোর সোলের নিচের পাশটা অনেক রুক্ষ হয়। ফলে দৌড়ানোর সময় মাটির সঙ্গে ঘর্ষণ হয় বেশি। পাশাপাশি এগুলোর গ্রিপও ভালো থাকে। যাতে অসমতল মাটিতেও দৌড়াতে সমস্যা না হয়। সে জন্যই এগুলোর এমন নাম। যাঁরা বিভিন্ন ট্রেইলে দৌড়াতে ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য এই জুতা ভালো।

কুশনড রানিং শু

এই জুতাগুলোর সোলে অতিরিক্ত কুশন দেওয়া থাকে। ফলে দৌড়ানোর সময় যেমন সহায়তা পাওয়া যায়, পাশাপাশি পরতেও বেশ আরামদায়ক হয়। এগুলোর গড়ন অনেকটাই স্ট্যাবিলিটি রানিং শুর মতো হয়। তবে এতে সোলের মাঝামাঝি কুশনের পরিমাণ একটু বেশি থাকলেও পুরো সোলেই অতিরিক্ত কুশন থাকে।

মিনিমালিস্ট রানিং শু

এগুলো অনেকটাই লাইটওয়েট রানিং শুর মতো গড়নের হয়। বানানো হয় হালকা উপাদান দিয়ে। ওজনে হয় হালকা। তবে আরও বেশি নমনীয় হয়। অনেকের কাছে এই জুতাই পরতে বেশি আরামদায়ক।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস