জিমে না গিয়েও যেভাবে ওজন কমাতে পারেন
ওজন কমাতে শরীরচর্চা করতেই হবে। তবে সে জন্য জিমে যাওয়া বাধ্যতামূলক নয়। রোজকার জীবনে কিছু সাদামাটা পরিবর্তনই ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সহায়ক হয়ে উঠতে পারে। আর মাঠ, পার্ক, বাড়ির ছাদ, লন, বারান্দা কিংবা করিডরেও তো হতে পারে শরীরচর্চা। এমনকি ইচ্ছা থাকলে ঘরের ভেতরেও শরীরচর্চার আয়োজন করতে পারবেন। জিমের খরচ বাঁচিয়েও অনায়াসেই করতে পারেন ব্যায়াম।
কম খরচে ব্যায়ামের সরঞ্জাম
কিছু ব্যায়ামের জন্য আপনার একটি বিশেষ ম্যাট্রেসের প্রয়োজন হবে। এর দাম বেশি নয়। আর তা চলেও বহু দিন। ডাম্বেল আর রেজিস্ট্যান্স ব্যান্ডও কিনতে পারবেন কম খরচে। দড়িলাফের মতো দারুণ কার্যকর একটি ব্যায়ামের জন্য যে দড়ি প্রয়োজন, সেটির দামও কম। বাড়ির গ্যারেজে কম খরচে বাস্কেটবলের রিং লাগিয়ে নিতে পারেন। এ ছাড়া আপনি একটি সাইকেল কিনতে পারেন। সাইকেলের দাম তুলনামূলক বেশি হলেও এটিকে এককালীন বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করুন। একবার খরচ করে একখানা সাইকেল কিনে নিলে বহু বছর চালিয়ে ব্যায়াম করতে পারবেন।
নানা রকম ব্যায়াম
হাঁটাহাঁটি, জগিং বা দৌড়ের মতো ব্যায়ামের জন্য প্রয়োজন ঠিকঠাক জায়গা। একই জায়গায় দাঁড়িয়ে জগিং অর্থাৎ স্পট জগিংয়ের জন্য আবার জায়গাও প্রয়োজন খুব কম। বিনা খরচে ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন। পুশ-আপ, প্ল্যাঙ্ক, পাইলেটস, লাঞ্জেস, বারপি প্রভৃতি করা যায় বাড়িতেও। বাড়িতে হতে পারে যোগব্যায়ামের চর্চাও। এমন নানা ধরনের ব্যায়াম আপনি শিখে নিতে পারেন যোগ্য প্রশিক্ষকের কাছ থেকে। এরপর বাড়িতেই চর্চা করতে পারেন নিজ উদ্যোগে।
জীবনে আসুক স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন
স্বাস্থ্যকর কিছু অভ্যাস গড়তে পারেন, যাতে ক্যালরি পোড়ানো সম্ভব হয়। যেমন কম দূরত্বের পথে যানবাহন না নিয়ে হেঁটে যাওয়া। কিংবা দীর্ঘ দূরত্বের ক্ষেত্রে গন্তব্যে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে যানবাহন থেকে নেমে বাকি পথ হেঁটে যাওয়া। যাতায়াতের জন্য সাইকেল ব্যবহার করলে কিন্তু খরচ আর ওজন দুই–ই কমবে। একইভাবে বহুতল ভবনের ওপরের তলাগুলোয় যেতে হলে অন্তত শেষ দু-তিনটি তলা হেঁটে যাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। বাগান করার কাজে শ্রম দিলেও বেশ খানিকটা ক্যালরি পোড়ে। ঘরের অন্যান্য কাজেও হাত লাগাতে পারেন। শিশুদের সঙ্গে ছোটাছুটির খেলায় যোগ দিন। ছুটির দিনে এমন কোথাও ঘুরতে যান, যেখানে শিশুদের নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করার সুযোগ রয়েছে। ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন বা ফুটবলের মতো খেলার আয়োজন করতে পারেন পরিবার ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে। সুযোগ থাকলে সাঁতারও কাটতে পারেন।
ডা. রাফিয়া আলম, ক্লিনিক্যাল স্টাফ, নিউরোমেডিসিন বিভাগ, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, পান্থপথ, ঢাকা