রমজান মাসে নাক কান গলার রোগে ওষুধের ব্যবহার কীভাবে করবেন
পবিত্র রমজান মাসে নাক, কান, গলার কোনো রোগ হলে আমরা চিন্তিত হয়ে পড়ি। কারণ, এসব রোগের ক্ষেত্রে অনেক সময় নাক বা কানের ড্রপ ব্যবহার করতে হয়। অনেক সময় অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ে। রোজার মধ্যে এমন সমস্যায় কী করা যায়, আসুন জেনে নেওয়া যাক।
সাইনোসাইটিসের ক্ষেত্রে
সাইনোসাইটিস রোগীদের ক্ষেত্রে নাকে স্প্রে বা ড্রপ ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়। অনেক রোগীর প্রশ্ন থাকে, রোজা রেখে দিনের বেলায় নাকে ওষুধ দেওয়া যাবে কি না। সে ক্ষেত্রে সাহ্রির সময় ও ইফতারের পর নাকে ড্রপ বা স্প্রে ব্যবহার করা যায়। সেভাবে ডোজ সমন্বয় করে নেওয়া যাবে।
কান পাকা ও কানের অন্যান্য সমস্যা
কান পাকা বা কানে অন্যান্য রোগ হলে অনেক সময় কানে ওষুধ ব্যবহার করতে হয়। সে ক্ষেত্রে সাহ্রির সময় ও ইফতারের পর কানে ওষুধ ব্যবহার করা ভালো। রোজা রাখা অবস্থায় কানে ওষুধ দেওয়া যাবে না। কারণ, কানের পর্দায় যদি ছিদ্র থাকে, এ ছিদ্রের মাধ্যমে ওষুধ গলায় প্রবেশ করতে পারে।
টনসিল প্রদাহ বা গলার অন্যান্য সংক্রমণ
গলায় টনসিল প্রদাহে বা অন্যান্য সংক্রমণের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করতে হয়। কিছু অ্যান্টিবায়োটিক দিনে চারবার, কিছু আট ঘণ্টা পরপর ও অন্যান্য অ্যান্টিবায়োটিক দুবার বা একবার খেতে হয়। পবিত্র রমজানে আমরা দিনে এক বা দুবার ওষুধ সেবন করতে হয়, এমন ব্যবস্থাপত্র দিয়ে থাকি, যেন রোগী ইফতার করে বা সাহ্রির সময় ওষুধ খেতে পারেন।
কোনো রোগীর চেকআপ লাগলে, তা রাতে করানো যেতে পারে। রমজান মাসে রোজাদারদের খাদ্যাভ্যাস একটা নিয়মনীতির মধ্যে চলে আসে। তাই রোজাদাররা অনেক রোগ থেকে মুক্তি পান এবং শরীর ও মন সুস্থ থাকে। এমনকি পেপটিক আলসার, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য রোগ নিয়ন্ত্রণে আসে। তাই রোগী খুবই ভালোভাবে দৈনন্দিন জীবন যাপন করতে পারেন।
অনেকে অনেক ইফতারের আয়োজন করেন ও তেলেভাজা বেশি খাদ্য গ্রহণ করেন। এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। মনে রাখবেন, পবিত্র রমজান হলো সংযমের মাস। তাই ইফতার ও সাহ্রির সময় সংযমী হওয়া প্রয়োজন।
ডা. এম আলমগীর চৌধুরী, অধ্যাপক, ইএনটি, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ, ধানমন্ডি, ঢাকা