বিরল এই রোগের কথা আর লুকিয়ে রাখতে পারলেন না সামান্থা

বেশ কয়েক দিন ধরেই গণমাধ্যমের আড়ালে ছিলেন দক্ষিণ ভারতীয় তারকা সামান্থা রুথ প্রভু। গুজব রটেছিল, দুরারোগ্য কোনো ব্যাধিতে আক্রান্ত তিনি। সময়ে জানা গেল, ঘটনা সত্যি। মায়োসাইটিস নামের এক জটিল রোগে ভুগছেন তিনি। এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে নিজেই নিশ্চিত করলেন এই ঘটনা।

হাসপাতাল থেকে সামান্থা
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

হাসপাতালের বিছানা থেকে নিজের একটি ছবি ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন সামান্থা। দুই হাত দিয়ে এঁকেছেন ভালোবাসা চিহ্ন। এক হাতে চলছে স্যালাইন। লিখেছেন, ‘কয়েক মাস আগে আমার ইমিউন সিস্টেমে গড়বড় দেখা গেছে। বিরল এই শারীরিক অবস্থাকে বলে মায়োসাইটিস। চেয়েছিলাম, সেরে উঠে আপনাদের বিষয়টি সম্পর্কে জানাব। কিন্তু আমরা যা ভাবি, সব সময় তা হয় না।’

সামান্থা জানান, যত তাড়াতাড়ি সুস্থ হবেন বলে ভেবেছিলেন, তার চেয়ে সময় বেশি লাগছে। ধীরে ধীরে সামান্থা বুঝতে পারছেন যে সব সময় শক্ত থাকা যায় না। বরং মাঝেমধ্যে নিজের দুর্বলতা মেনে নিতে হয়। আর সেটা মেনে নিতেই খুব কষ্ট হচ্ছে। ওই পোস্টে সামান্থা আরও লেখেন, ‘আমার চিকিৎসকেরা নিশ্চিত যে আমি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠব। জীবনে আমি যেমন অনেক ভালো দিন দেখেছি, তেমনি খারাপ দিনও পার করেছি। কিন্তু এবার মনে হচ্ছে, আর একটা দিনও পারব না। কীভাবে কীভাবে যেন সময়গুলো কোনো রকমে পার হয়ে যাচ্ছে। বোধ হয়, আর মাত্র কিছুদিন...’

দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত সামান্থা
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

মায়োসাইটিসের লক্ষণ

স্বাস্থ্যবিষয়ক যুক্তরাজ্যের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট এনএইচএস জানাচ্ছে, মায়োসাইটিসে মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা হয়। হাঁটতে, চলতে, এমনকি আঙুল নাড়াতেও তীব্র ব্যথা হতে পারে। মায়োসাইটিসের লক্ষণ—

১. বসে থাকার পর উঠতে কষ্ট হয়।
২. সিঁড়ি বেয়ে উঠতে অসুবিধা হয়।
৩. হাত দিয়ে কিছু তুলতে বা নামাতে অসুবিধা হয়।
৪. কিছুক্ষণ হাঁটার পর বসতে অসুবিধা হয়।
৫. খাবার গিলতে এমনকি নিশ্বাস নিতেও কষ্ট হতে পারে।
৬. মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা থাকে। এই ব্যথা কমপক্ষে দুই সপ্তাহের বেশী দীর্ঘস্থায়ী হয়।

মায়োসাইটিস থেকে সেরে ওঠা কঠিন
ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

কেন হয় মায়োসাইটিস?

সাধারণত শরীরের যেসব জায়গায় বোন টিস্যু হওয়ার কথা নয়, সেখানে এ ধরনের টিস্যু জন্মালে মায়োসাইটিস হয়। অনেক সময় বড় কোনো আঘাত বা শরীরের ভেতরে কোনো জখম হলে সেখান থেকে মায়োসাইটিস হতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এর কারণ জানা যায় না। চিকিৎসাপদ্ধতিও জটিল, কষ্টদায়ক। তবে চিকিৎসার অভাবে অঙ্গহানি থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। চিকিৎসায় পুরোপুরি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে খুবই কম।