বিশ্ব ক্যানসার দিবস: অনন্যতায় ঐকতান
৪ ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে পালিত হয় বিশ্ব ক্যানসার দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘ইউনাইটেড বাই ইউনিক’।
প্রত্যেক মানুষের ক্যানসারযাত্রা বা অভিজ্ঞতায় স্বাতন্ত্র্য বা অনন্যতা আছে।
স্বাস্থ্যব্যবস্থায় প্রাধান্য পাওয়া উচিত মানুষের, রোগের নয়।
এখানে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মূলত এই দুটি বিষয়ের ওপর। শুধু একটি রোগের নাম নয়, ক্যানসার একেকজন মানুষের নিজস্ব বিষয়। রোগ নয়, ক্যানসার সেবা গড়ে উঠবে মানুষকে কেন্দ্র করে। এমন একটা ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করতে হবে, যেখানে প্রত্যেক মানুষের স্বতন্ত্র চাহিদার ওপর জোর দেওয়া হবে।
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ক্যানসার দিবসে বিশ্বাসের এই ধ্বনি বিশ্বজুড়ে প্রতিধ্বনিত হবে।
ক্যানসার নিয়ন্ত্রণে ৫-৫-৭
৫টি না, ৫টি হ্যাঁ, ৭টি সতর্কসংকেত। ক্যানসারের প্রাথমিক প্রতিরোধের জন্য; অর্থাৎ ক্যানসার যাতে আমাদের ছুঁতে বা কাবু করতে না পারে।
জেনে নিন, মেনে চলুন, সতর্ক থাকুন।
না বলুন
ধূমপান ও তামাকজাতীয় দ্রব্যের ব্যবহার
বাল্যবিবাহ
অতিরিক্ত মাংস ও চর্বিজাতীয় খাবার
মদ বা অ্যালকোহল
একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা
হ্যাঁ বলুন
খাবারে প্রচুর শাকসবজি ও ফলমূল
হালকা ব্যায়াম ও নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস
সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানো
ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা
কিশোরী কন্যাকে (৯-১৪ বছর) এইচপিভি
টিকা দেওয়া
সতর্ক থাকুন
খুশখুশে কাশি বা ভাঙা কণ্ঠস্বর
সহজে সারে না, এমন ক্ষত বা ঘা
স্তন বা শরীরের যেকোনো জায়গায় চাকা বা পিণ্ড
অস্বাভাবিক রক্তক্ষরণ
ঢোঁক গিলতে অসুবিধা বা হজমের গন্ডগোল
মলমূত্র ত্যাগের অভ্যাসে পরিবর্তন
তিল বা আঁচিলের সুস্পষ্ট পরিবর্তন
অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার
প্রকল্প সমন্বয়কারী ও ক্যানসার প্রতিরোধ বিভাগের প্রধান, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ক্যানসার হাসপাতাল