চা-প্রেমীরা বেশি দিন বাঁচেন, কেন জানেন?

যাঁরা চা খান, বিশেষ করে গ্রিন টি ও চিনি ছাড়া রং–চা, তাঁরা অন্যদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচেন। একাধিক গবেষণায় এর প্রমাণ মিলেছে। চায়ে এমন কিছু গুণাগুণ আছে, যা দীর্ঘায়ুর সঙ্গে সম্পর্কিত। বিশেষ করে যাঁরা নিয়মিত চা খান, তাঁদের কার্ডিওভাস্কুলার রোগে ভুগে মৃত্যুর আশঙ্কা খুবই কম। চায়ের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অন্যান্য উপাদান কোষের বুড়িয়ে যাওয়ার হার কমিয়ে দেয় ও বিভিন্ন ক্রনিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়। যে কারণে চা-প্রেমীরা বেশি দিন বাঁচেন। বিস্তারিত জানুন।

চায়ের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কার্যকারিতা অ্যান্টি-এজিংয়েছবি: প্রথম আলো

১. অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট 

চায়ে, বিশেষ করে গ্রিন–টিতে থাকে এপিগ্যালোকেটেচিন-৩-গ্যাল্যাট ধরনের খুবই উন্নত মানের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এটি বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে এবং অ্যান্টি-এজিংয়ে অত্যন্ত সহায়ক।

২. হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়

যাঁরা প্রতিদিন ২ কাপ চা (যার মধ্যে ১ কাপ অবশ্যই গ্রিন টি) খান, তাঁদের হার্ট অ্যাটাকসহ বিভিন্ন হৃদ্‌রোগ, স্ট্রোক ও অন্যান্য কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত কম থাকে।

৩. শিরা-উপশিরার কার্যকারিতা ও প্রদাহ প্রতিরোধে

প্রতিদিন অন্তত ১ কাপ রং–চা (সর্বাধিক উপকার পেতে চিনি ছাড়া চা) খেলে ধমনি ও শিরা-উপশিরার কার্যকারিতা বাড়ায় ও প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে।

আরও পড়ুন
প্রতিদিন অন্তত ১ কাপ রং–চা খেলে ধমনি ও শিরা-উপশিরার কার্যকারিতা বাড়ায়
ছবি: প্রথম আলো

৪. অ্যান্টি-এজিং প্রভাব

চায়ের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কার্যকারিতা অ্যান্টি-এজিংয়ে। আর এ জন্য আপনাকে দিনে গ্রিন টি ও রং–চা মিলে খেতে হবে অন্তত ৩ কাপ চা (যার কোনোটাই দুধ–চা হওয়া চলবে না)। ফলে আপনি দ্রুত বুড়িয়ে যাবেন না।

৫. সামগ্রিক স্বাস্থ্য

চা মানসিক চাপ কমাতে, শরীর সতেজ রাখতে ও কাজে মনোযোগ বাড়াতে সহায়ক।

তবে দুটি কথা মনে রাখবেন—

কেবল গ্রিন টি ও রং–চায়ে আছে অ্যান্টি-এজিং উপাদান। কিছু গবেষণা জানিয়েছে, গ্রিন টিতে সবচেয়ে বেশি অ্যান্টি-এজিং উপাদান আছে।

দিনে ৩ কাপের (৭০০ মিলিলিটারের বেশি) বেশি চা খাওয়া ঠিক হবে না। তাতে বাড়তি ক্যাফেইন নানা ধরনের সমস্যা ও স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করবে।

সূত্র: হার্ভার্ড হেলথ

আরও পড়ুন