শীতে চোখ সুস্থ রাখতে কিছু সহজ অভ্যাস
শীতকালে চোখের নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় চোখের যত্নে সচেতনতা জরুরি, কেননা সামান্য অবহেলা অনেক সময় এই সংবেদনশীল অঙ্গটির বিপদ ডেকে আনতে পারে।
শীত এলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পরিবর্তন আসে, তেমনি আবহাওয়ারও পরিবর্তন ঘটে। শীতের শুষ্ক আবহাওয়া, ধুলাবালু, ঠান্ডা বাতাস ও সূর্যালোকের তারতম্যের কারণে শীতকালে চোখ বিশেষভাবে সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। এই সময় চোখের জ্বালা, শুষ্কতা থেকে শুরু করে গ্লুকোমার মতো গুরুতর রোগও নীরবে ক্ষতি করতে পারে।
শীতকালে চোখের সাধারণ সমস্যা ও কারণ
শীতকালে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় শুষ্ক চোখ বা ড্রাই আই সিনড্রোম। ঠান্ডা বাতাস ও কম আর্দ্রতার কারণে চোখের পানির পরিমাণ কমে যায়। ফলে চোখে জ্বালা, চুলকানি, বালুর মতো অনুভূতি ও লাল ভাব দেখা দেয়।
চোখের অ্যালার্জি মূলত শীতে ধুলাবালু ও ঠান্ডা থেকে হয়ে থাকে।
কনজাংটিভাইটিস বা চোখ ওঠা সাধারণত ভাইরাসজনিত সংক্রমণের কারণে হয় এবং এ সময় বেশি হতে দেখা যায়।
চোখে পানি পড়া বা ঝাপসা দেখা।
চোখের সংক্রমণ, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু নীরব সমস্যা হলো গ্লুকোমা। শীতকালে চোখের ভেতরের চাপ বা ইন্ট্রাঅকুলার প্রেশার ওঠানামা করতে পারে, যা আগে থেকে গ্লুকোমায় আক্রান্ত বা ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য বিপজ্জনক।
শীতে চোখ সুস্থ রাখতে কিছু সহজ অভ্যাস
বাইরে গেলে সানগ্লাস বা প্রোটেকটিভ চশমা ব্যবহার করুন।
চোখে বারবার হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
ধুলাবালু এড়িয়ে চলতে হবে।
পর্যাপ্ত পানি খান।
প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে লুব্রিকেটিং আই ড্রপ ব্যবহার করুন।
গ্লুকোমা রোগীরা নিয়মিত ওষুধ ও ফলোআপ অবশ্যই বজায় রাখুন।
কখন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন
চোখে তীব্র ব্যথা, হঠাৎ দৃষ্টি কমে যাওয়া, দীর্ঘদিন লাল ভাব বা ঝাপসা দেখার সমস্যা হলে দেরি না করে চোখের বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে। শীতে নিজের ও পরিবারের চোখের যত্ন নিন, অন্যকেও সচেতন করুন।
অধ্যাপক ডা. ইফতেখার মো. মুনির, গ্লুকোমা বিশেষজ্ঞ ও পরিচালক, বাংলাদেশ আই হাসপাতাল, মালিবাগ, ঢাকা