উপসর্গ
ক্রোনস ডিজিজে আক্রান্ত রোগী দীর্ঘমেয়াদি পেটে ব্যথা, পাতলা পায়খানা, রক্তমিশ্রিত পায়খানা, বদহজম, ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যায় ভোগেন।
রোগের জটিলতায় অন্ত্র সরু হয়ে গিয়ে পেট ফুলে যেতে পারে। কখনো কখনো অন্ত্র ছিদ্র হয়ে প্রচণ্ড পেটে ব্যথা ও পেট ফোলা নিয়েও রোগী চিকিৎসকের কাছে আসতে পারেন।
কারও কারও মলদ্বারের ফিস্টুলা ও অন্ত্রের ফিস্টুলাও হয়ে থাকে।
অপর দিকে আলসারেটিভ কোলাইটিসে দীর্ঘমেয়াদি রক্তমিশ্রিত পাতলা পায়খানা, তলপেটে ব্যথা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। তবে জটিলতা হিসেবে মলদ্বারে মারাত্মক রক্তক্ষরণ, পেট ফুলে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যাও হতে পারে।
আইবিডি রোগীদের অনেক সময় মুখ, চোখ ও চামড়ায় প্রদাহজনিত সমস্যাও হতে পারে।
রোগনির্ণয়
রোগের ইতিহাস, উপসর্গ ও শারীরিক পরীক্ষার পাশাপাশি কিছু ল্যাবরেটরি পরীক্ষারও প্রয়োজন হয়ে থাকে।
রক্ত ও মলের কিছু বিশেষ পরীক্ষার পাশাপাশি এন্ডোস্কপি, কোলনোস্কপি ও এন্টেরোস্কপি পরীক্ষা করার প্রয়োজন হয়। অনেক ক্ষেত্রে পেটের সিটি স্ক্যান এবং এমআরআই পরীক্ষা খুবই কাজে আসে।
ক্রোনস ডিজিজের কিছু রোগীর অন্ত্রের অপারেশন করার পর বায়োপসি পরীক্ষায় রোগ শনাক্ত হয়ে থাকে।
চিকিৎসা
আইবিডি রোগের চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি, বলা যায় সারা জীবনের।
নিয়মিত ওষুধ সেবন ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের পাশাপাশি কাউন্সেলিং রোগ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
কখনো কখনো আইবিডি রোগের চিকিৎসায় অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে।
বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে চিকিৎসা ব্যয়বহুল হতে পারে।
ডা. মোহাম্মদ জাকির হোসেন, সহযোগী অধ্যাপক, পরিপাকতন্ত্র, লিভার ও প্যানক্রিয়াস রোগ বিভাগ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ
ও মিটফোর্ড হাসপাতাল