আজ নয় কাল থেকেই শুরু করব ডায়েট, এমনটা কি আপনারও হয়
দেখা যায়, অনেকেই ডায়েট করতে চাইছেন, কিন্তু শুরুটাই করতে পারছেন না। আজ করব, কাল করব করতে করতে সেই মোক্ষম দিনটা যেন আর আসেই না। এ ক্ষেত্রে ছোট ছোট কিছু পদক্ষেপ আপনাকে ডায়েট শুরু করতে উৎসাহ দেবে।
১. বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নির্ধারণ: ডায়েটের শুরুতেই ছোট ও অর্জনযোগ্য লক্ষ্য রাখুন। যেমন ডায়েট চার্ট মেনে দুই সপ্তাহের জন্য ওজন কমানোর একটা লক্ষ্য ঠিক করুন। মনকে বোঝান, শুধু ওজন কমানো নয়, দীর্ঘ মেয়াদে সুস্থও থাকতে হবে আমাকে।
২. মজাদার ও সহজ রেসিপি: স্বাস্থ্যকর খাবার আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করুন। এটি ডায়েট শুরু করতে আপনাকে অনুপ্রেরণা দেবে, যেমন রঙিন সালাদ, বিভিন্ন স্মুদি, গ্রিল করা প্রোটিনজাতীয় খাবার।
৩. নিজেই ফলোআপ করুন: ডায়েটে কতটা উন্নতি হচ্ছে, তা লিখে ফেলুন। কারও তত্ত্বাবধানে না থাকতে পারলে নিজে কোনো ডায়েট অ্যাপের সাহায্য নিন। আর সফল হলে ছোট ছোট পুরস্কারের মাধ্যমে নিজেকে অনুপ্রাণিত করুন।
৪. সামাজিক সমর্থন: ডায়েট শুরু করলেই আত্মীয় ও বন্ধুরা বলতে থাকেন, এক দিন খেলে কিছু হবে না। তাই প্রয়োজনে তাঁদের সঙ্গে নিয়েই ডায়েট শুরু করুন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডায়েট–সংক্রান্ত লেখাগুলো পড়ুন এবং এ–সংক্রান্ত ভিডিও দেখুন। এসব আপনাকে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
৫. পেশাদারদের সাহায্য: শুরুতেই ডায়েটিশিয়ান বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট প্ল্যান তৈরি করে নিন। এতে ফলোআপের বিষয়–আশয় থাকবে বলেই আপনি উৎসাহ পাবেন।
৬. মনস্তাত্ত্বিক কৌশল: ইতিবাচক চিন্তা ও কাজ করুন। যেমন নিজেকে বলুন, আমি আমার নিজের যত্ন নেবই। পাশাপাশি ধীরে ধীরে অস্বাস্থ্যকর খাবারের অভ্যাস বদলাতে থাকুন। যেমন সোডা, চিনি ও তেল–জাতীয় খাবার কম খাওয়া ইত্যাদি।
৭. জীবন যাপনে নিয়ন্ত্রণ: ডায়েটের পাশাপাশি ব্যায়াম, পর্যাপ্ত ঘুম ও স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট করুন। ডায়েট চার্টের পাশাপাশি এসব আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
৮. ভুল হলে হতাশ না হওয়া: সঠিকভাবে ডায়েট চার্ট মানতে পারলে খুব ভালো কাজ হয়, তবে কখনো আটকে গেলে হতাশ হবেন না। পরের দিন থেকে আবার নতুনভাবে শুরু করুন। পাশাপাশি মাঝেমধ্যে চিট ডে নিন। এতে ডায়েটে একঘেয়ে লাগবে না।
আর এভাবে ধাপে ধাপে ডায়েটকে জীবনের অংশ করে নিলে এটি কষ্টকর না হয়ে আনন্দদায়ক হয়ে উঠবে।
লেখক: পুষ্টিবিদ