ইএএসবির জাতীয় উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফেরদৌসি বেগম আলোচনায় বলেন, বিভিন্ন কারণে মেয়েদের এন্ডোমেট্রিওসিস রোগ হতে পারে। এ রোগে আক্রান্ত পাঁচ নারীর মধ্যে চারজনই মানসিক রোগে আক্রান্ত হন। কোনো কিছুতেই তাঁরা আগ্রহ পান না।

আলোচনায় অংশ নিয়ে ইএসবির সহসভাপতি অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম বলেন, ‘একজন নারীর বিভিন্ন বয়সে এ রোগ হতে পারে। অধিকাংশ নারীই রোগটির কথা গোপন রাখে। বিশেষ করে অল্প বয়সীরা এ রোগ হলে কাউকে বলতে চায় না। আমাদের সমাজে দেখা যায়, যখন একজন কিশোরীর প্রথম প্রচণ্ড পেটব্যথা হয়, মাসিক শুরু হয়, তখন দ্বিধা-সংকোচ-ভয়ের কারণে সে কাউকে কিছু বলতে পারে না। এ সংকোচ থেকে বের হয়ে আসতে হবে। কোনো সমস্যা হলে বিশেষজ্ঞদের বলতে হবে। কারণ এ রোগ ক্যানসারের চেয়েও ভয়াবহ।’

ইএএসবির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. ফারহানা দেওয়ান বলেন, ‘সবার আগে এ রোগ প্রতিরোধের চেষ্টা করতে হবে। এ রোগ হলে অনেক ব্যথা হয়। তাই প্রথমেই ব্যথা কমানোর চেষ্টা করতে হবে। এ জন্য কিছু উপায় আছে। এন্ডোমেট্রিওসিস প্রতিরোধ করতে হলে ভিটামিনযুক্ত খাবার খেতে হবে। ভিটামিন এ, বি, সি-যুক্ত খাবার এ রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন সবুজ শাকসবজি, মাঝারি সাইজের একটা করে কাঁচা ফল ইত্যাদি খেতে হবে। এ ছাড়া খেজুরজাতীয় শুকনা ফল খাওয়া যায় পরিমাণমতো। পানি বেশি করে পান করা উচিত। প্রতিদিন শারীরিক ব্যায়ামও করা দরকার।’

ইএএসবির আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ইএএসবির জাতীয় উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. কোহিনূর, জাতীয় উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. লায়লা আর্জুমান্দ বানু, সহসভাপতি অধ্যাপক ডা. পারভীন ফাতেমা, এডিটর অধ্যাপক ডা. গুলশান আরা ও অধ্যাপক ফাতেমা রহমান।

অনুষ্ঠানে শুরুতেই আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজার ডা. মো মুরাদ হোসেন। এ অনুষ্ঠানের সায়েন্টিফিক পার্টনার ছিল এসকেএফের অস্টক্যাল জি এক্স ব্র্যান্ড, যা দেশের সবচেয়ে ছোট আকারের কোরাল ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি–সংবলিত ট্যাবলেট। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয় প্রথম আলো এবং এসকেএফের ফেসবুক পেজে।