আর্লিং হলান্ড ঠিকঠাক ঘুমানোর জন্য কী কী করেন, শুনলে অবাক হবেন

নরওয়ের মানুষ হলেও আর্লিং হলান্ডের জন্ম কিন্তু ইংল্যান্ডের লিডসে। মাঠ মাতাচ্ছেন ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে। মাত্র ২২ বছর বয়সেই বনে গেছেন বিশ্বসেরা স্ট্রাইকারদের একজন। তাঁর গোল করার অবিশ্বাস্য দক্ষতার অন্যতম কারণ দুর্দান্ত ফিটনেস বা শারীরিক দক্ষতা। অথচ সে জন্য সবাই যা যা করেন, হলান্ড করেন তার বিপরীত। জেনে নিন হলান্ডের ঘুম আর খাওয়ার রুটিন।

নরওয়ের মানুষ হলেও আর্লিং হলান্ডের জন্ম কিন্তু ইংল্যান্ডের লিডসে। কারণ, বাবা আলফি হলান্ড তখন খেলতেন লিডস ইউনাইটেডে। ছেলেও হয়েছেন ফুটবলার। শুরুটা নিজের দেশ নরওয়ের ক্লাবে। তারপর বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়ে দাপিয়েছেন বুন্দেসলিগা। গত বছর এসেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে। মাঠ মাতাচ্ছেন ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে। মাত্র ২২ বছর বয়সেই বনে গেছেন বিশ্বসেরা স্ট্রাইকারদের একজন। তাঁর গোল করার অবিশ্বাস্য দক্ষতার অন্যতম কারণ দুর্দান্ত ফিটনেস বা শারীরিক দক্ষতা। অথচ সে জন্য সবাই যা যা করেন, হলান্ড করেন তার বিপরীত। জেনে নিন হলান্ডের ঘুম আর খাওয়ার রুটিন।

হল্যান্ডের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ঘুম
ছবি: রয়টার্স

সবাই ফিটনেস বা শারীরিক দক্ষতার জন্য সর্বোচ্চ মনোযোগ দেন ব্যায়াম ও খাদ্যাভ্যাসে। এখানে হলান্ড সবার চেয়ে ব্যতিক্রম। তাঁর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ঘুম। সে জন্য রাজ্যের আয়োজন করেন তিনি। ঘুমানোর কয়েক ঘণ্টা আগে পরেন বিশেষ সানগ্লাস বা রোদচশমা। কমলা রঙের এই সানগ্লাস নীল আলোর জন্য বিশেষভাবে বানানো।

হলান্ড ঘুমাতেও যান তাড়াতাড়ি, রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে। ঘুমানোর কিছুক্ষণ আগে সব ইলেক্ট্রিক ডিভাইস বন্ধ করে দেন, যেন কোনোভাবেই সেগুলো তাঁর ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে না পারে। চালু থাকে কেবল একটা অরা রিং। সেটা পরে ঘুমান হালান্ড। যেটা ঘুমের মধ্যে তাঁর শরীরের ওপর নজর রাখে। ঘুম কেমন হলো, শরীরের তাপমাত্রা কত থাকল, মানসিক চাপ অনুভব করেছিলেন কি না, হার্ট রেট কত ছিল—এসব। মজার ব্যাপার হলো, সকালে ওঠার জন্য অ্যালার্ম হিসেবে তিনি দিয়ে রেখেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগের থিম সং।

এত বেশি খাওয়ার জন্য নরওয়ে জাতীয় দলের এক সতীর্থ একবার মজা করে তাঁকে ভাল্লুকের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন
ছবি: আর্লিং হল্যান্ডের ইন্সটাগ্রাম থেকে

খাদ্যাভ্যাসেও অন্য ক্রীড়াবিদদের থেকে আলাদা হলান্ড, প্রচুর খান। এত বেশি খাওয়ার জন্য নরওয়ে জাতীয় দলের এক সতীর্থ একবার মজা করে তাঁকে ভাল্লুকের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন! তিনি নাকি দিনে ছয় হাজার ক্যালরি পর্যন্ত গ্রহণ করতে পারেন। যেখানে সাধারণত ছেলেদের ক্যালরি প্রয়োজন হয় দৈনিক আড়াই হাজার।

তাঁর এই প্রচুর খাওয়ার অভ্যাস এসেছে ছোটবেলার শহর বেরিনায় থাকতে। সেখানকার মানুষের পাতে প্রচুর প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার থাকে। বিশেষ করে মাংস। এ নিয়ে অবশ্য হলান্ডের অবস্থান পরিষ্কার। তাঁর কথা, আপনাকে যত বেশি সম্ভব স্থানীয়ভাবে উৎপন্ন খাবার খেতে হবে। মানুষ বলে, বেশি মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। প্রশ্ন হলো সেটা কোন মাংস? আপনি ফাস্টফুডের দোকান বা রেস্তোরাঁয় যে মাংস খাচ্ছেন বা দোকান থেকে যে প্রক্রিয়াজাত মাংস কিনে খাচ্ছেন, সেটা? নাকি মাঠে চড়ে ঘাস খেয়ে যে গরুটা বড় হয়েছে, সেটার মাংস?

ছোটবেলায় নাকি ইচ্ছা ছিল শেফ হওয়ারও
ছবি: রয়টার্স

সেই সঙ্গে খাদ্যতালিকায় রাখেন কার্বোহাইড্রেটের সমন্বয়, যাতে থাকে ভারসাম্য। সে জন্য তাঁর পাতে থাকে লাসানিয়া। পাশাপাশি মাছ খেতেও পছন্দ করেন হলান্ড। ছোটবেলায় নাকি ইচ্ছা ছিল শেফ হওয়ারও। এমনকি বেরিনা ক্লাবে থাকতেও সে ইচ্ছা মনে পুষে রেখেছিলেন। পরে জলাঞ্জলি দেন মোলডাতে সুযোগ পাওয়ার পর।

তথ্যসূত্র: দ্য সান