
কোমরব্যথা বা ব্যাক পেইন একটা পরিচিত সমস্যা। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মেরুদণ্ডের নিচের দিকের হাড়ের মধ্যবর্তী তরুণাস্থি বা ডিস্কের বার্ধক্যজনিত পরিবর্তনের ফলে এ ব্যথার সূত্রপাত। এ পরিবর্তন ৩০ বছর বয়স থেকে শুরু হলেও জানান দেয় আরও পরে। চল্লিশ বা পঞ্চাশের পর প্রায়ই নানা কারণে কোমরে ব্যথা-বেদনা বা টান ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়।
বড় ধরনের কোনো সমস্যা না হলে সাধারণত এই কোমরব্যথা বা ব্যাক পেইন নিয়েও কিছু সাবধানতা অবলম্বন করে ভালো থাকা যায়। সবচেয়ে ভালো হলো সব সময় কিছু স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মেনে মেরুদণ্ডের সুস্থতা বজায় রাখতে চেষ্টা করা।
নিচ থেকে বা মেঝে থেকে কিছু তুলছেন?
কোমর ভাঁজ করে কিংবা ঝুঁকে তুলবেন না। হাঁটু ভাঁজ করে বসুন, তারপর জিনিসটা তুলুন।
কোনো কিছু বহন করার সময়
ঘাড়ের ওপর ভারী ওজন তুলবেন না, এমনকি ঘাড়ের ওপর শিশুদের বসিয়ে হাঁটাচলা করাও উচিত নয়।
ভারী জিনিস শরীরের কাছাকাছি রাখুন, যেমন পিঠে বা বুকে। পিঠের ওপর ভারী কিছু বহন করার সময় সামনের দিকে ঝুঁকে বহন করুন।
দাঁড়িয়ে থাকার সময়
১০ মিনিটের বেশি একইভাবে দাঁড়িয়ে থাকবেন না। হাঁটু না ভেঙে সামনের দিকে ঝুঁকবেন না
দীর্ঘক্ষণ হাঁটতে বা দাঁড়াতে উঁচু হিল এড়িয়ে চলুন। অনেক ক্ষণ দাঁড়াতে হলে কিছুক্ষণ পরপর শরীরের ভর এক পা থেকে অন্য পায়ে নিন। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হলে ছোট ফুট রেস্ট ব্যবহার করুন।
যানবাহনে চড়ার সময়
গাড়ি চলানোর সময় স্টিয়ারিং হুইল থেকে দূরে সরে বসবেন না, সোজা হয়ে বসুন।
বসে থাকার সময়
চেয়ারটি টেবিল থেকে বেশি দূরে নেবেন না। সামনে ঝুঁকে কাজ করবেন না। কোমরের পেছনে সাপোর্ট দিন। এমনভাবে বসুন, যাতে ঊরু মাটির সমান্তরালে থাকে। নরম গদি বা স্প্রিংযুক্ত সোফা বা চেয়ার মেরুদণ্ডের জন্য ভালো নয়।
শোয়ার সময়
উপুড় হয়ে শোবেন না। ভাঙা খাট, ফোম বা স্প্রিংয়ের খাটে না শোয়াই ভালো। সমান তোশক ব্যবহার করুন। বিছানা শক্ত, চওড়া ও সমান হতে হবে।
এ ছাড়া ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন। ফিটনেস বাড়াতে নিয়মিত কায়িক ব্যায়াম করুন।
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র|