জিকা প্রতিরোধে চাই অন্তঃসত্ত্বার সচেতনতা

জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ বিশ্বজুড়ে এখন আলোচিত। একই সঙ্গে মাইক্রোকেফালি নামের সমস্যাটি নিয়েও ইদানীং বেশ আলোচনা হচ্ছে। এটি শিশুর জন্মগত ত্রুটি। নবজাতকের মাথার আকৃতি স্বাভাবিকের তুলনায় ছোট হলে তাকে মাইক্রোকেফালি বলা হয়। জিকা ভাইরাস সংক্রমণ ছাড়াও এই সমস্যার আরও কিছু কারণ রয়েছে।

মাইক্রোকেফালির মূল কারণ গর্ভকালীন বা জন্মের পর কোনো কারণে শিশুর মস্তিষ্কের বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া। এর সঙ্গে শিশুর শারীরিক বিকাশ ও বুদ্ধিমত্তার ঘাটতি, খিঁচুনি, শ্রবণ ও দৃষ্টিজনিত সমস্যা ইত্যাদিও থাকতে পারে। শিশুর মস্তিষ্কের বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ার কারণগুলো হলো অন্তঃসত্ত্বা নারীর নানা ধরনের সংক্রমণ, বিশেষত টর্চ ও জিকা ভাইরাস, গর্ভকালীন অবস্থায় মায়ের মাদক সেবন, অন্তঃসত্ত্বার অপুষ্টি, শিশুর মস্তিষ্কে রক্তসঞ্চালনে ঘাটতি, প্রসবকালীন নানা জটিলতা, শিশুর জন্মের পর খিঁচুনি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি।
ছোট আকৃতির মাথা নিয়ে জন্মানো শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশও বাধাগ্রস্ত হয়। সমস্যা প্রতিরোধ করাটাই উত্তম। মাইক্রোকেফালিসহ এ ধরনের জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধের জন্য সব অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়মিত গর্ভকালীন সেবা গ্রহণ, সঠিক পুষ্টি নিশ্চিতকরণ এবং নিরাপদ প্রসবের ব্যবস্থা জরুরি। গর্ভকালীন ধূমপান ও মাদক সেবন সম্পূর্ণ বর্জন করতে হবে। বর্ষা মৌসুমে অ্যাডিস মশার বিস্তার রোধে এখন থেকেই সচেতনতা প্রয়োজন।

জাতীয় নিউরোসায়েন্স ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল