মৌসুমি ফলে সতেজ ও সুস্থ শরীর

ছবি: আনস্প্ল্যাশ

গ্রীষ্মকাল মানেই ফলের ম ম সৌরভে ভরপুর চারপাশ। যদিও শহুরে জীবনে শুধু ফলের দোকানগুলোতেই এই সুবাস পাওয়া যায়। এগুলো খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই উপকারী। গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে রক্ষায় শরীরকেও প্রস্তুত করে এসব ফল। গরম থেকে রক্ষা পেতে এবং শরীর ঠিক রাখতে দেশি ফল বেশ উপকারী।

পেঁপে

পেঁপেতে আছে প্যাপাইন
ছবি: আনস্প্ল্যাশ

পেঁপে প্রায় সারা বছরই পাওয়া যায়। পেঁপেতে আছে প্যাপাইন। কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে পাকা পেঁপে খুব কার্যকর। কাঁচা পেঁপে ডায়রিয়া ও জন্ডিস সারায়। কাঁচা পেঁপে সবজি হিসেবে এবং পাকা পেঁপে জুস করে খাওয়া যায়।

কাঁঠাল

কাঁঠাল পুষ্টিগুণে ভরপুর
ছবি: আনস্প্ল্যাশ

কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। পুষ্টিবিদেরা বলছেন, কাঁঠাল পুষ্টিগুণে ভরপুর। কাঁঠালে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি, বি-১, বি-২, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামসহ নানা রকমের পুষ্টি ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায়। এসব উপাদান আমাদের শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি ভিটামিনের চাহিদাও পূরণ করে কাঁঠাল। ডায়াবেটিক মানুষের জন্য কাঁচা কাঁঠাল উপকারী। রক্তের চিনির মাত্রা স্বাভাবিক রাখার জন্য কাঁচা কাঁঠালের জুড়ি নেই।

পানিফল

পানিফল যথেষ্ট পুষ্টিকর
ছবি: উইকিপিডিয়া

পানিফল আরেকটি পুষ্টিকর ফল। এতে শতকরা ৪.৭ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। এ ছাড়া রয়েছে শ্বেতসার, খনিজ লবণের মধ্যে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন ইত্যাদি। ক্যালরিও অনেক এই ফলে। কাঁচা এবং সেদ্ধ, দুভাবেই খাওয়া যায়। পানিফল পেটের রোগ নিরাময় করে। ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে করতে সাহায্য করে, দুর্বল শরীরকে বল দেয়, যকৃতের প্রদাহনাশক অর্থাৎ লিভারের ইনফ্লামেশন নিরাময় করে, হাত-পা ফোলা ঠিক করে। এ ছাড়া পানিফল ঋতুর আধিক্যজনিত সমস্যা ঠিক করতে খুবই উপকারী। এমনকি এতে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধের গুণও।

কলা

কলা প্রায় সব মৌসুমেই পাওয়া যায়

কলা প্রায় সব মৌসুমেই পাওয়া যায়। আমাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় একটি করে কলা অবশ্যই থাকা উচিত। এনার্জি বাড়াতে কলার জুড়ি নেই। তাই খুব বেশি ওজন কমে গেলে বা শরীর দুর্বল হয়ে পড়লে চিকিৎসকেরা কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এতে থাকা পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম হাড় শক্ত রাখে। কলায় থাকে পেকটিন নামক একটি ফাইবার, যা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে। বাচ্চাদের প্রথম সলিড খাওয়ানোর সময় অনেকেই চিন্তায় পড়ে যান যে কী ফল দেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে কাজে আসতে পারে কলা। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন। পেট পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি হজমেও সাহায্য করে কলা। একটি কলায় থাকে ৩ গ্রাম ফাইবার, যা খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়। টামিন-মিনারেলের মতো বহু গুণসমৃদ্ধ কলায় রয়েছে ক্যারোটিনয়েডের মতো অ্যান্টি-অক্সিডেন্টও।