শিশুর বদহজম

শিশুবিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে শিশু কোন নির্দিষ্ট বিপাকজনিত অসুখে ভুগছে, তা নির্ণয় করে চিকিৎসা করাতে হবে।

শিশু বয়সে হজমজনিত সমস্যা থাকলে খাবারের পুষ্টি আন্ত্রিক খাদ্যনালিতে যথাযথভাবে শোষিত হতে পারে না। এর ফলে শিশু পুষ্টির অভাবজনিত সংকটে পড়ে। শিশুরা কখনো একসঙ্গে বেশ কয়েক ধরনের পুষ্টির হজমজনিত সমস্যায় পড়ে, কখনো–বা কেবল নির্দিষ্ট প্রকারের পুষ্টিজাত বদহজমে ভোগে। তবে শিশুর সব ধরনের বদহজমে দীর্ঘমেয়াদি ডায়রিয়া থাকে, যা শিশুর এ বদহজম সমস্যা আরও জটিল করে তোলে।

উপসর্গ

শিশুর এ বিপাক প্রক্রিয়ার অসুস্থতা তার ব্যাপকতা ও ধরনের ওপর নির্ভরশীল।

শূন্য থেকে ৩ বছর বয়সী শিশুর বদহজমজনিত অসুখের প্রধান লক্ষণ হলো ডায়রিয়া, পেট ফোলা বা ফাঁপা ও ওজন না বাড়া। শিশুর মাংসপেশির নিচে চর্বি শুকিয়ে যায়, ফলে বাহু ও কোমরের মাংসপেশি থলথলে হয়ে ঝুলে থাকে। যেহেতু এ বয়সের শিশুর শরীরে সঞ্চিত শক্তি কম থাকে, তাই এ অসুখে ভোগার অতি অল্পদিনের মধ্যে শিশুর ওজন কমে যায় এবং তার দৈহিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়।

শিশুর বদহজমের কারণ নানাবিধ। নির্দিষ্ট রোগচিহ্ন দেখে কিছু ধারণা পাওয়া যায়। যেমন গরুর দুধ সহ্য করতে না পারলে শিশুর বদহজমের লক্ষণগুলোর সঙ্গে মুখের চারপাশে র‍্যাশ, শ্বাসে শাঁই শাঁই শব্দ থাকতে পারে। শর্করা বা সুক্রোজ জাতীয় খাবারে বদহজমে একসঙ্গে বেশি পরিমাণ থকথকে মল দেখা যায়। প্রোটিন জাতীয় খাবারের বদহজম হলে মল বেশ দুর্গন্ধযুক্ত হয়। শিশু যদি অগ্ন্যাশয় থেকে উৎপন্ন খাবারের বিপাকরস ঘাটতিজনিত বদহজমে ভোগে, তাহলে মল পেস্টের মতো সাদাটে হলুদাভ রং হয়।

কী করবেন

শিশুর বদহজমজনিত রোগ নির্ণয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ রোগ ইতিহাসের সঙ্গে মল, বায়োকেমিক্যাল টেস্ট এবং আন্ত্রিক বায়োপসির মতো বিশেষ ধরনের পরীক্ষার প্রয়োজন হতে পারে। শিশুবিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে শিশু কোন নির্দিষ্ট বিপাকজনিত অসুখে ভুগছে, তা নির্ণয় করে চিকিৎসা করাতে হবে।