আমেরিকায় কেন পালিত হয় সাশ্রয়ী দোকান দিবস
দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে না রোজগার। ফলে সচেতন মানুষমাত্রই মিতব্যয়ী জীবনযাপনে অভ্যস্ত হচ্ছেন। অপ্রয়োজনীয় কেনাকাটা তো করছেনই না, বরং প্রয়োজনীয় কেনাকাটাতেও আনছেন কাটছাঁট। এখানেও কথা আছে। ক্রেতারা দরকারি পণ্য ক্রয়ে দামাদামি, যাচাই-বাছাই করছেন আগের চেয়ে বেশি। সুলভে উৎকৃষ্ট পণ্য পেতে চাইছেন। ক্রেতার এই ক্রয়কৌশল পরিবর্তনের ফলে বাজারেও এসেছে পরিবর্তন। ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ পণ্য তথা পুরোনো বা ব্যবহৃত জিনিস বেচাকেনার প্রবণতা বাড়ছে। ইংরেজিতে যাকে বলে ‘থ্রিফট শপিং’।
বাংলাদেশে অবশ্য এটি বহু আগে থেকেই ছিল। অল্প আয়ের মানুষের ভেতর দারুণভাবে জনপ্রিয় ছিল সাশ্রয়ী কেনাকাটা। কিন্তু হালে এটি প্রায় সমাজের সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছেই জনপ্রিয় হয়ে গেছে। শহরের পথেঘাটে একটু চোখ রাখলেই ব্যাপারটা দেখতে পাবেন। আজকাল প্রায়ই দেখা যায় এমন দৃশ্য—কেতাদুরস্ত কেউ গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার পাশের ভ্যান থেকে কিনে নিলেন পছন্দসই পণ্য। বিষয়টা একসময় সংকোচের মনে হলেও এখন রীতিমতো স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
সেকেন্ড হ্যান্ড বা ব্যবহৃত পণ্য কেনাকাটা জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ কারণ আছে। অর্থ সাশ্রয়ের ব্যাপার তো আছেই, সেই সঙ্গে পরিবেশ সচেতনতার বিষয়টিও গুরুত্ব পাচ্ছে ইদানীং। থ্রিফট শপিংয়ের ফলে পণ্যের অপচয় কমছে। ব্যবহৃত পণ্য পুনর্ব্যবহারের দরুন অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য তৈরি হচ্ছে কম। পণ্য তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর চাপ কমে আসছে। একটি কথা আছে, আপনার বর্জ্য অন্যের জন্য হয়তো প্রয়োজনীয় সম্পদ। ঠিক তা–ই।
আজ ১৭ আগস্ট, থ্রিফট শপ ডে তথা সাশ্রয়ী দোকান দিবস। আমেরিকায় এটি পালিত হয়। মূলত দাতব্য কার্যক্রমকে অনুপ্রাণিত করতে এই দিবসের চল হয়। কখন, কীভাবে এটি চালু হয়েছিল, তা অবশ্য জানা যায় না। এ ধরনের কেনাকাটা তো করেন, সুতরাং দিবসটিও পালন করতে পারেন।
ডেজ অব দ্য ইয়ার অবলম্বনে