কেমন হবে বারান্দার আসবাব?

বারান্দায় গাছপালা তো থাকবেই, তবে তার সঙ্গে যদি থাকে একটু আয়েশ করে বসার আয়োজন, তাহলে কেমন হবে, বলেন তো? হাসছেন নিশ্চয়ই। ঢাকা শহরের বেশির ভাগ ফ্ল্যাটের ছোট বারান্দায় যেখানে নড়াচড়াই কষ্টকর, সেখানে আবার আলাদা আসবাব! হ্যাঁ, একটুখানি বুদ্ধি খাটালে ছোট্ট বারান্দাতেও রাখতে পারবেন আসবাব। করতে পারেন বসার আয়োজন।

বারান্দায় আয়েশ করে সময় কাটাতে এমন বড় কুশন বা গদি রাখতে পারেন।
ছবি : নকশা

সবার বাসাতেই এখন কমবেশি বাড়তি কুশন বা গদি থাকে। বারান্দার আয়তন যেমনই হোক না কেন, একটু আয়েশ করে সময় কাটানোর জন্য মেঝেতে বিছিয়ে নিতে পারেন এমন বড় কুশন বা গদি। যখন বারান্দা অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করবেন, তখন কুশন উঠিয়ে রাখুন। বারান্দার এক দিকে মাটির চাঁড়িতে পানি দিয়ে কিছু গাছ বা লতাপাতা রেখে দিলে পরিপূর্ণ হবে বারান্দার সাজ।

এই ধরনের আসবাব যেন বৃষ্টিতে ভিজে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন।
ছবি : নকশা

একটু পুরোনো দিনের বাসার বারান্দায় হোগলাপাতা, বেত বা বাঁশের তৈরি মোড়া ব্যবহার করতে পারেন। এ ধরনের আসবাব যাতে বারান্দায় বৃষ্টির ছাটে ভিজে না যায়, সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকেই বারান্দায় প্লাস্টিকের আসবাব ব্যবহার করতে চান, যা বারান্দার সৌন্দর্য নষ্ট করে। বারান্দা ঘিরে থাকা সবুজ গাছগাছালির সঙ্গে প্লাস্টিকের আসবাব একেবারেই বেমানান।

ছোট বারান্দায় ছোট আসবাবের ব্যবহার করুন।
ছবি : নকশা

বারান্দা যদি বেশি ছোট হয়, তাহলে ছোট গোলাকার কাচের টেবিল রাখুন। ছোট ছোট টি–পট, ফুলদানি আর কলম-ডায়েরি দিয়ে সাজিয়ে রাখা টেবিলেই জমে উঠতে পারে বিকেলের চায়ের আয়োজন। একটু যদি লেখালেখি বা গান শোনার অভ্যাস থাকে, তাহলে তো কথাই নেই।

খুব সামান্য আয়োজনেই সেজে উঠতে পারে বারান্দা।
ছবি : নকশা

গাছপালা তো থাকবেই, তার সঙ্গে খুব সামান্য আয়োজনে সাজানো বারান্দা আপনাকে দেবে একটু নিশ্বাসের জোগান।