চাদর থেকে টেবিলম্যাট, এক গামছায় কত কি

গামছা মূলত গা বা শরীর মোছার কাজেই ব্যবহৃত হতো; সেখান থেকেই বিশেষ এ কাপড়ের নাম হয়ে গেছে গামছা। পরে জনপ্রিয়তা পায় গামছার শাড়ি ও লুঙ্গি। সময়ের পরিক্রমায় সেই গামছা দিয়ে এখন তৈরি হচ্ছে বাহারি সব গৃহসজ্জার পণ্য।

বেডকভার, বালিশ–কুশনকভার, পর্দা, রানার, প্লেসম্যাট, সোফার কভার, ফ্লোরম্যাটসহ বিভিন্ন ধরনের গৃহসজ্জাসামগ্রী এখন তৈরি হচ্ছে গামছা দিয়ে। কখনো পুরো গামছা জোড়া লাগিয়ে, আবার কখনো গামছার ছোট ছোট টুকরা জোড়া দিয়ে তৈরি হচ্ছে এসব বাহারি পণ্য। বুনন ও রঙের বৈচিত্র্যের কারণে এগুলো গৃহসজ্জায় যোগ করে ভিন্নমাত্রা।

কুইল্ট ওয়ার্ক বা প্যাচ ওয়ার্কও এখন খুব জনপ্রিয়। গামছার কুইল্ট ওয়ার্কের চাদর, কুশনকাভার, পর্দা বা ডাইনিং সেট দারুণ বর্ণিল এবং নান্দনিক।

চাইলে ফুলদানিতেও মুড়িয়ে দিতে পারেন বিভিন্ন রঙের গামছার ছোট ছোট টুকরা। গামছা দিয়ে রশি বানিয়ে সেটা দিয়ে তৈরি করতে পারেন ছোট-বড় ঝুড়ি, কোস্টার ও ম্যাট। কখনো গামছার হ্যাঙ্গিং ম্যাটও বানাতে পারেন

আবার ছোট–বড় নানান সাইজের টেবিলের ওপর গামছার ম্যাট বিছিয়ে রাখতে পারেন কিছু শো পিস। ছোট গাছ রাখলে পুরো আয়োজন দারুণ হয়ে ওঠে! চাইলে পুরো গামছাই বিছিয়ে দেওয়া যায় টেবিল অথবা যেকোনো ডেস্কের ওপর।

সময়ের পরিক্রমায় রং ও সুতার মূল্যবৃদ্ধি, জীবনযাপনে আধুনিকতার ছোঁয়া ও যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে গামছা বুনতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন তাঁতিরা। অনিশ্চয়তার কথা ভেবে সন্তানদেরও আর এই পেশায় আনতে চাইছেন না। এ কারণে আমাদের ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প এখন ধ্বংসের মুখে। তাই সবাইকে বেশি বেশি করে গামছাসামগ্রী ব্যবহার করে ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হবে।