ঈদে বসার ঘরে নতুনত্ব আনবেন যেভাবে

ঈদের সময় বাড়িতে আসবেন আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব। এ সময় আপনার বাড়িটিকেও দিন উৎসবের আমেজ। ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে বেশি প্রাধান্য পায় বসার ঘর। অতিথি আপ্যায়নে এ ঘরেই সবাই বসেন। স্থাপত্যবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘মেটামরফিক’-এর স্থপতি ফারাহ মৌমিতা জানালেন ছোটখাটো উপায়ে বড় পরিবর্তন আনার উপায়।

দেয়ালে লাগাতে পারেন আয়না
ছবি: নকশা

বসার ঘরের প্রধান আসবাব সোফা। ঈদকে সামনে রেখে অনেকে সোফা সেট পরিবর্তন করে থাকেন। তবে আরেক উপায়েও সোফার সাজে আনতে পারেন পরিবর্তন। সোফার কভার পুরোনো হয়ে গিয়ে থাকলে সেটা পাল্টে নিতে পারেন। এতেই ঘরের আবহ নতুনের মতো হয়ে যাবে। বাজারে এখন বাহারি ডিজাইনের সিঙ্গেল সোফা পাওয়া যায়। আগের সোফার সঙ্গে মিলিয়ে বা বিপরীত রঙের সিঙ্গেল সোফা কিনে নিতে পারেন।

ঘরে আসবাব যতটা কম রাখা যায়, তত সুন্দর। সোফার পরিবর্তে ছোট টুল বা জলচৌকি ব্যবহার করতে পারেন। বেতের তৈরি নানা নকশার টুল পাওয়া যায় আজকাল। এগুলো যেমন সৌন্দর্য বর্ধন করে, তেমনি এগুলোর জায়গা বদল করে সহজেই ঘরে আনা যায় নতুনত্ব।

পুরোনো আসবাবের সঙ্গে মিলিয়ে কিনে নিতে পারেন কমলা রঙের মতো এমন একটি চেয়ার।
ছবি: নকশা

বসার ঘরের এক পাশের দেয়াল পছন্দমতো রঙে রাঙিয়ে নিতে পারেন। নিজের পছন্দের উজ্জ্বল রং দিয়ে ছবিও আঁকতে পারেন। এ ছাড়া ওয়ালপেপারও ব্যবহার করতে পারেন। দেয়ালে নতুন নতুন ছবি লাগিয়েও বদল আনা যায়।

কম খরচে ঘরে নতুনত্ব আনতে পর্দা ও কুশন কভার পাল্টে ফেলতে পারেন। বিভিন্ন বুটিক শপে ম্যাচিং পর্দা ও কুশন কভার পাওয়া যায়।

দেয়ালে একটি আয়না ঘরের সৌন্দর্য অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে পারে। অনেক ধরনের আয়না বাজারে পাওয়া যায়। ঘরের আসবাব ও অন্যান্য অনুষঙ্গের সঙ্গে মিলিয়ে বেছে নিতে পারেন আয়না। আয়নার ক্ষেত্রে কাঠের তৈরি নকশাগুলো সবার নজর কাড়ে।

আলো মুহূর্তেই ঘরের চেহারা বদলে দিতে পারে। বেছে নিতে পারেন মৃদু আলোর বাতি অথবা স্পটলাইট। অন্দরের সৌন্দর্যে আভিজাত্য বাড়াতে একটি ঝাড়বাতি বা ল্যাম্পশেড ব্যবহার করতে পারেন। ঝাড়বাতিটি ঘরের আয়তনের সঙ্গে মানানসই হতে হবে। টেবিল ল্যাম্প ছাড়াও ফ্লোর ল্যাম্প ও হ্যাঙ্গিং লাইট দিয়ে সাজাতে পারেন বসার ঘর। একটা পর্যায় পর্যন্ত ঘরে যত আলোর খেলা যোগ করবেন, ততটাই প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে আশপাশ। চলতি ধারায় এখন প্রাধান্য পাচ্ছে উষ্ণ আলো।

লাইটের ব্যবহার আনবে ভিন্নতা
ছবি: নকশা

ঘরের একটা কোণে শতরঞ্জি পেতে তাতে কয়েক ধরনের কুশন দিয়ে খুব সহজেই একটি আরামদায়ক বসার জায়গা তৈরি করা সম্ভব। নানা আকার আর ধরনের শতরঞ্জি বাজারে পাওয়া যায়। শুধু মেঝেতে নয়, চেয়ারে কিংবা টেবিলেও হালকা ধরনের শতরঞ্জির ব্যবহার করা যায়।

মানুষের মতো ঘরের সাজেরও অন্যতম উপাদান ফুল। শুধু ফুলের সাজেও উৎসবমুখর হয়ে উঠতে পারে ঘর। ঘরের কয়েকটি জায়গায় সতেজ ফুল রেখে দিন। দেখতে স্নিগ্ধ লাগবে, সুগন্ধ মনকে করে তুলবে প্রফুল্ল। বসার ঘরে ক্যাকটাস কিংবা বনসাই রাখতে পারেন। দরজার বাইরে পাম ট্রি রাখা যেতে পারে। দেয়ালজুড়ে রাখতে পারেন পাতাবাহার বা মানি প্ল্যান্ট।

আসবাবের একটু স্থান বদল করেও ঘরের সাজে আনা যায় নতুনত্ব। নতুন গৃহসজ্জার জিনিস না কিনে পুরোনো জিনিসগুলোর জায়গা পরিবর্তন করলেই নতুন লাগবে ঘর। বাড়িতে কাঠের আসবাব থাকলে ঈদের আগে পলিশ করিয়ে নিতে পারেন।