এসিতেও ঠান্ডা হচ্ছে না ঘর? জেনে নিন ভুল হচ্ছে কোথায়

১৫০ বর্গফুটের ঘরে যদি দেড় টনের পরিবর্তে ১ টনের এসি লাগানো হয়, তবে স্বাভাবিকভাবেই তা রুম ঠান্ডা করতে পারবে না।সঠিক পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ না পেলে এসি সঠিকভাবে কাজ করে না। এমনই নানা বিষযের ওপর নির্ভর করে ঘরের ঠান্ডা কম–বেশি হওয়া

এসি ছাড়ার আগে ঘরের জানালা বন্ধ করে নিনমডেল: আঁখি, ছবি: নকশা

প্রচণ্ড দাবদাহে গরমের হাত থেকে বাঁচতে কম–বেশি সব বাড়িতেই এখন লাগানো হচ্ছে এয়ারকন্ডিশনার বা এসি। কিন্তু সেই এসি যদি ঘর ঠান্ডা করতে না পারে কিংবা শীতল বাতাসের বদলে বের হয় উষ্ণ বাতাস, তাহলে? চলুন কারণগুলো জেনে নেওয়া যাক।

১. এসি কেনার সময় প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে, কত টনের এসি কেনা হচ্ছে। বিষয়টি ঘরের আকারের ওপর নির্ভর করে। যেমন ১০০-১২০ বর্গফুট ঘরে ১ টন এসি, ১২০-১৫০ বর্গফুট ঘরের জন্য দেড় টন এসি, ১৫০-২০০ বর্গফুটের ঘরের জন্য প্রয়োজন ২ টন এসি। ১৫০ বর্গফুটের ঘরে যদি দেড় টনের পরিবর্তে ১ টনের এসি লাগানো হয়, তবে স্বাভাবিকভাবেই তা রুম ঠান্ডা করতে পারবে না। বরং অতিরিক্ত চাপের কারণে এসির কমপ্রেসর নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এখানেই হিসাব–নিকাশ শেষ না। যদি একদম ছাদের নিচের তলার ঘরের জন্য এসি কেনা হয়, সেখানেও হিসাব কিছুটা এদিক-ওদিক হতে পারে। সে ক্ষেত্রে কেনার আগে সঠিক পরামর্শ নিয়ে নিন।

এসি ছাড়ার পর রিমোটের মোড ঠিক করে নিন
ছবি: নকশা

২. দিনের বেলা, বাইরে যখন তীব্র রোদ থাকবে, জানালার পর্দা টেনে দিতে হবে। নইলে বাইরের গরমের তীব্রতা ঘরকে গরম করে রাখবে। এ ক্ষেত্রে ঘর ঠান্ডা করতে এসির বেশ কিছুটা সময় বেশি লাগবে।

৩. এসি চালানো অবস্থায় অবশ্যই ঘরের দরজা–জানালা বন্ধ রাখুন। নইলে বাইরের গরম বাতাসের জন্য ঘরের বাতাস ঠান্ডা করতে পারবে না এসি। এসির বিভিন্ন যন্ত্রাংশে চাপ পড়বে, যা এসি বিকল করে ফেলতে পারে। আবার দুর্ঘটনার কারণও হতে পারে।

৪. রিমোট ঠিক না থাকলে এসির মোড বদলে যায় অনেক সময়৷ হিট মোড হয়ে গেলে এসি থেকে গরম বাতাস বের হয়। অনেক সময় সঠিক টেম্পারেচার বোঝা যায় না। তাই এসির রিমোট ঠিক রাখাটা বেশ প্রয়োজন।

৫. সঠিক পরিমাণ বিদ্যুৎ সরবরাহ না পেলে এসি সঠিকভাবে কাজ করে না। তাই এসি লাগানোর সময় সার্কিট ব্রেকারসহ পুরো পাওয়ার সাপ্লাই সঠিক রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করতে হবে।

বাইরে অনেক রোদ থাকলে জানালার পর্দা টেনে দিন
ছবি: নকশা

৬. এসির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। কনডেনসারে ময়লা জমলে, পাইপের কোথাও ছিদ্র বা ময়লা থাকলে, সঠিকভাবে এসি ভ্যাকুয়াম না করলে, গ্যাস ফুরিয়ে গেলেও এসি সঠিকভাবে কাজ করে না। এতে ঘর ঠান্ডা তো হয়–ই না, বরং বড় কোনো দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।