যেভাবে কমাবেন মেঝের ঠান্ডা

ঠান্ডা মেঝের ওপর পেতে দিন শতরঞ্জি বা কার্পেট। পায়ে চলে আসবে উষ্ণতার ছোঁয়া।

শীত চলে এল। হিমঝরা দিনে অন্দরে স্বস্তি আনতে কত কীই–না করা হয়। এমনই এক সংযোজন হলো মেঝেতে আলাদা কিছু বিছিয়ে নেওয়ার আয়োজন। অনেক বাড়িতেই থাকে এমন চল। অন্দরের কোন জায়গার মেঝেতে বিছানোর অনুষঙ্গটি কেমন হতে পারে, জেনে নেওয়া যাক আজ।

গাঢ় আসবাবের সঙ্গে হালকা রঙের শতরঞ্জি
ছবি: নকশা

শীতের অন্দরের এক অনন্য অনুষঙ্গ শতরঞ্জি। অন্দরের দেয়াল ও আসবাবের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাছাই করে নিতে পারেন শতরঞ্জির রং, নকশা। উজ্জ্বল আসবাবের সঙ্গে হালকা রঙের শতরঞ্জির সমন্বয় করলে অন্দরে থাকবে রঙের ভারসাম্য। এমনটাই বলছিলেন রেডিয়েন্ট ইনস্টিটিউট অব ডিজাইনের প্রধান ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনার গুলসান নাসরীন চৌধুরী। হালকা অনুষঙ্গটি সহজেই অন্দরের এদিক-ওদিক সরিয়ে নিতে পারবেন আপনার প্রয়োজনমতো। সহজে গুটিয়েও রাখা যায় ঘরের এক পাশে; প্রয়োজনের সময় বিছিয়ে নিলেই হলো। শতরঞ্জি ধোয়া সহজ, প্রয়োজনে ভেজা কাপড় দিয়ে মুছে রোদে শুকালেও চলে।

শোবার ঘরে

বিছানার পাশে লম্বা আকারের শতরঞ্জি
ছবি: নকশা

শোবার ঘর নীলাভ করে তুলতে পারেন শতরঞ্জি ও অন্যান্য অনুষঙ্গে। ঘরটির এক কোণে আরাম করে বসার জন্য বিছিয়ে দিতে পারেন শতরঞ্জি। করতে পারেন লো হাইট বা কম উচ্চতায় বসার ব্যবস্থা। সেখানে রাখতে পারেন ভারী কুশন। বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্য উঁচু বেতের মোড়াও রাখতে পারেন পাশে। ঘরের যেদিকটাতে রোদ আসে, সেদিকটাতে এমন আয়োজন করতে পারেন। কিংবা করতে পারেন রোদ ছড়ানো কোনো বারান্দাতেও।

বসার ঘরে

আসবাবের সঙ্গে মানিয়ে আধুনিক নকশার শতরঞ্জি
ছবি: নকশা

বসার ঘরের জন্য মেরুনের মতো রং বেছে নিতে পারেন। দেশীয় অনুষঙ্গের মধ্যে শতরঞ্জি আনবে নান্দনিকতা। তবে আসবাব ও অন্যান্য অনুষঙ্গ দেশীয় ধারার না হয়ে ভারিক্কি ধাঁচের হলে সেখানে শতরঞ্জি মানাবে না। সে ক্ষেত্রে কার্পেটের কথা চিন্তা করে দেখতে পারেন। তবে যাঁদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা থাকে, কার্পেটে তাঁদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে। আবার আপনার পরিবারের কারও এমন সমস্যা না থাকলেও কোনো অতিথি এলে অসুবিধায় পড়তে পারেন, সেটিও খেয়াল রাখা বাঞ্ছনীয়।

পারিবারিক ঘর ও শিশুর ঘর

পারিবারিক ঘরের এক কোণেও শোবার ঘরের মতোই শতরঞ্জিতে বসার আয়োজন রাখা যেতে পারে। শিশুর খেলার সময়ও সেখানে শতরঞ্জি বিছিয়ে দিতে পারেন। শিশুর ঘরে রঙিন শতরঞ্জি বিছিয়ে দিন, যেখানে খেলনা ছড়িয়ে বসতে পারবে সে। রংধনুর সাত রংও থাকতে পারে তার ঘরে।

পারিবারিক ঘরেও থাকতে পারে শতরঞ্জি
ছবি: নকশা

শতরঞ্জি ছাড়াও পায়ের আরামে

খাবার টেবিলের নিচে ঠান্ডা মেঝেতে যাতে সরাসরি পা না পড়ে, সে জন্য বাড়তি ব্যবস্থা রাখতে পারেন। টেবিলের নিচে কৃত্রিম উপকরণে তৈরি অনুষঙ্গ বিছিয়ে দিতে পারেন, যেটির নিচের দিকে পাতলা রবারের মতো উপাদান থাকার ফলে পিছলে সরে যায় না। এগুলো দেখতে পাপোশের মতো, দামেও কিছুটা সাশ্রয়ী। ঘরে খালি পায়ে থাকার অভ্যাস যাঁদের, তাঁদের জন্য এ ধরনের অনুষঙ্গ বেশ ভালো। চাইলে পড়ার টেবিলের নিচেও বিছাতে পারেন। আবার ঘরে স্যান্ডেল পরার অভ্যাস থাকলেও এমন হতে পারে যে ঘুম থেকে উঠেই হয়তো স্যান্ডেল জোড়া খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই বিছানার পাশে সুন্দর রং ও নকশার এমন অনুষঙ্গ বিছিয়ে রাখতে পারেন, যাতে ঘুম ভেঙে মেঝেতে পা ফেললেই পায়ে ঠান্ডা না লাগে। এ ক্ষেত্রে শতরঞ্জি বা কার্পেট হতে পারে লম্বাটে আকারের।