শোবার ঘরও হতে পারে বোহো

বোহেমিয়ান স্টাইলের সংক্ষিপ্ত রূপ বোহো স্টাইল। পোশাক-আশাকের মতো শোবার ঘরেরও কিন্তু বোহো স্টাইল আছে। বহুবিধ নকশা, জমিন আর রঙের সমন্বয়ে একটা গতিময়, বৈশ্বিক চেহারা পায় এ ধরনের শোবার ঘর। একটা হালকা, স্বচ্ছন্দ, ভাবনাহীন জীবনযাপনকে নির্দেশ করে। এখন যদিও মিনিমালিজমের সময়। যেকোনো সজ্জার একটাই সূত্র ‘লেস ইজ মোর’। তবে বোহো বেডরুমে সজ্জায় সেকেলে উপাদানের ছোঁয়া যেমন থাকে, পাশাপাশি থাকে আধুনিকতার পরশ। এ রকম পাঁচ ধরনের বোহো বেডরুম দেখে নেওয়া যাক।

মনে হবে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় কোনো অঞ্চলে ছুটি কাটাতে এসেছেন
ছবি: সংগৃহীত

১. মনে হবে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় কোনো অঞ্চলে ছুটি কাটাতে এসেছেন

ঘুম থেকে জেগে বিশেষ একটা অনুভূতি পেতে চান? যেন মনে হয় প্রচণ্ড গরমের কোনো অঞ্চলে ছুটি কাটাতে গেছেন, তাহলে সারা ঘরের দেয়ালে স্পষ্ট চোখে পড়ে, এমন রঙের পাতা মোটিফের ওয়ালপেপার লাগিয়ে দিন। সিলিং ফ্যানের ওপরেও পাতা মোটিফের অন্য রকম কিছু একটা দিন। বিছানার পেছনে অভিজাত গোলাপি রংটা এমন আমেজের সঙ্গে মানানসই। এ ঘরে আপনি বনেদি একটা ল্যাম্পশেড রাখতে পারেন। বাতির ফ্রেমগুলোও হতে পারে আনারস মোটিফ থেকে অনুপ্রাণিত। সাবেকি ধাঁচের চমৎকার একটা ট্রাংক আর এর ওপর আলতো পড়ে থাকা একটা কাউবয় হ্যাট ঘরের চেহারাই বদলে দেবে।

‘মোর ইজ মোর’
ছবি: সংগৃহীত

২. ‘মোর ইজ মোর’

এমন একটা বেডরুম কল্পনা করুন, যেখানে রঙের ছড়াছড়ি। অন্যান্য রংগুলো যাতে ফুটে ওঠে, সে জন্য আপনাকে অবশ্যই সিলিং আর দেয়াল সাদা রাখতে হবে। টিল আর কমলা—এ দুটি বিপরীত রঙের সমারোহ ঘরটাকে উজ্জ্বল আর এনার্জিটিক করে তুলবে। এর সঙ্গে যোগ করতে পারেন অন্যান্য সম্পূরক রং—লালের বিভিন্ন শেড, হলুদ, বাদামি—এ রকম কিছু রং। শোবার ঘরে পর্যাপ্ত আলো ঢোকার ব্যবস্থা করতে হবে। মনে হবে লুকিয়ে থাকা যায়, এ রকম একটা আরামদায়ক কুঁড়েঘরে আছেন। তখনই আপনি ‘মোর ইজ মোর’ সূত্রের সঠিক ব্যবহার করতে পারবেন।

নকশাদার শোবার ঘর
ছবি: সংগৃহীত

৩. নকশাদার শোবার ঘর

এ ঘরের দিকে ভালোভাবে তাকিয়ে দেখুন। প্রতিটি স্তরের উপাদানের দিকে চোখ বুলান। সবখানেই আপনার চোখে পড়বে নকশা—ডোরাকাটা, ফুলেল, জ্যামিতিক। একই নকশা ঘুরেফিরে বারবার এসেছে। এ রকম ঘরে গোলাপি আর হলুদ—এই দুই রঙের আধিপত্য চলে। এসবের সঙ্গে বেতের তৈরি আসবাব বেশ মানানসই। কেননা, সেটা প্রাকৃতিক আর সেখানেও নকশা লক্ষণীয়। কেবল একটা সাদা ল্যাম্পশেড আর ছোট্ট একটা অ্যালার্ম ঘড়ি এই ছন্দ ভেঙে দেয়। তবে এমন আবহে কেবল এক-দুটি রং বা এমন উপাদান রাখবেন, সেগুলো বাকি সবকিছুর সঙ্গে কিঞ্চিৎ বেসামাল, এর বেশি নয়।

নীলাভ শোবার ঘর
ছবি: সংগৃহীত

৪. নীলাভ শোবার ঘর

শোবার ঘরটা আপনি যদি নীলাভ রাখতে চান, তাহলে সিলিং আর দেয়াল অবশ্যই সাদা রাখুন। বালিশ, কম্বল—সবকিছুর ভেতরেই নীলের সমন্বয় রাখুন। আর সিলিং ফ্যানে কালো রং লেপ্টে দিলেই বদলে যাবে চেহারা। এ আবহে প্রাণের সঞ্চার করবে একটা সবুজ গাছ।

খেয়ালি শোবার ঘর
ছবি: সংগৃহীত

৫. খেয়ালি শোবার ঘর

সব নিয়মকানুনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজের তোলা কয়েকটা ওয়াইল্ডলাইফ ছবি ঝুলিয়ে দিতে পারেন মাথার কাছে। বালিশের ওয়্যার, বিছানার চাদর—এসবে থাকতে পারে বুনো একটা ভাব। হয়তো থাকল হরিণের পাল, প্রজাপতি বা নাম না জানা কোনো বুনো ফুল। এর সঙ্গে আপনি ‘অদ্ভুত’ চেহারার একটা ছোট তাক ঝুলিয়ে তার ওপর কিছু গাছ, পুতুল, খেলনা বা হাতে বানানো কিছু রেখে দিতে পারেন পাশাপাশি।