শাওন খেতে ভালোবাসেন, আর টয়া?

'হাতিল কিচেন কেবিন'-এর এ পর্বে অতিথি ছিলেন অভিনয়শিল্পী টয়া–শাওন দম্পতি

মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া ও সায়েদ জামান শাওন। দুজনের পরিচয় দিতে গিয়ে একটু বিপাকেই পড়ে গেলেন উপস্থাপক নীল হুরেজাহান। অভিনয়শিল্পী, মডেল, উপস্থাপক, ভ্লগার—কোনটা রেখে কোনটা বলবেন? কী পরিচয়ে দর্শকদের সামনে তাঁদের উপস্থাপন করবেন? তবে অন্য যত পরিচয়ই থাকুক না কেন, এবার এই তারকা দম্পতিকে রন্ধনশিল্পী হিসেবেও পাওয়া গেল।

হাতিল কিচেন কেবিন’ অনুষ্ঠানে উপস্থাপক নীল হুরেজাহানের সঙ্গে টয়া-শাওন তৈরি করেছেন ‘হাড়িয়ালি কাবাব’। অনুষ্ঠানটি একযোগে প্রচারিত হয় প্রথম আলো ডটকম, প্রথম আলো ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেজে।

‘নীল আমার খুব পছন্দের উপস্থাপক। তাই তাঁর আমন্ত্রণে কোনো চিন্তাভাবনা না করেই চলে আসা যায়। কিন্তু রান্নার অনুষ্ঠানে এসে তো টেনশনই হচ্ছে...,’ অনুষ্ঠানের শুরুতেই বলেন শাওন।

দুজনকে ধন্যবাদ জানিয়ে নীল বলেন, ‘মোটামুটি যাদের ইচ্ছা এবং আগ্রহ আছে, তারাই রান্না করতে পারবে। রান্না খুব কঠিন কোনো বিষয় নয়।’

নীলের অভয়বাণী শুনে আশ্বস্ত হন চা-কফি আর ডিম ভাজায় অভিজ্ঞ এবং রান্না সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা থাকা টয়া আর শাওন। শুরু করেন হাড়িয়ালি কাবাব তৈরির প্রস্তুতি। তিনজনের গল্প-আড্ডায় চলতে থাকে রান্না।

গল্পের শুরুতেই জানা গেল, টয়া-শাওন কখনো আলাদাভাবে রান্না করেন না। দুজন একসঙ্গেই রান্নাঘরে ব্যস্ত থাকেন। তবে তখন সেখানে রান্নার চেয়ে বেশি দুষ্টুমিই হয় বলে জানান টয়া।

রান্না এবং আড্ডার মধ্যেই উপস্থাপক নীল দুই অতিথিকে জানান, এত সুন্দর পরিপাটি রান্নাঘর পুরোটাই হাতিলের তৈরি। শুনে টয়া বলেন, ‘হাতিলের ফার্নিচার আমার খুবই ভালো লাগে। কারণ, হাতিলের ফার্নিচারগুলো নকশা খুবই সুন্দর।’

অহেতুক অনেক জিনিসপত্র দিয়ে কিচেন বড় করা বা কিচেনে বেশি আসবাব ব্যবহার করা টয়ার অপছন্দ। কথার মাঝেই হাতিল কিচেন কেবিনটি ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন শাওন। স্বামীর প্রশংসা করতে গিয়ে টয়া বলেন, ‘শাওনের সেন্স ভালো, চাইলেই ভালো ভালো রান্না করতে পারে। তবে শাওন রান্না করে খাওয়ার চেয়ে প্রিয়জনের যত্ন করে রান্না করা খাবার খেতেই বেশি পছন্দ করে। কারণ শাওন খেতে খুব ভালোবাসে।’

রান্না যখন করা হচ্ছে, তখন আলোচনায় তো কিচেনের প্রসঙ্গ আসবেই। নীল বলেন, ‘এখন দুই ধরনের কিচেনের প্রচলন বেশি। একটি ড্রাই কিচেন, আরেকটি ওয়েট কিচেন।’

রান্নার সময় নীল হুরেজাহানের সঙ্গে একই কিচেনে উপস্থিত ছিলেন টয়া ও শাওন


নীলের কথার সঙ্গে যোগ করেন টয়া, ‘বর্তমানে কিচেনগুলো অনেক বেশি সাজানো-গোছানো থাকে। কারণ এলোমেলো রান্নাঘরে রান্না করতে কারওই ভালো লাগে না।’

গল্প-আড্ডায় শেষ হয় রান্না। কেমন হলো হাড়িয়ালি কাবাব? স্বাদ নিতে নিতে উপস্থাপক নীল শাওনের কাছে জানতে চান, হাতিলের কিচেনটা কেমন লেগেছে?
‘আমার বাসায় যদি নতুন করে কোনো কিচেন তৈরি করি, তাহলে অবশ্যই হাতিলের তৈরি এই কিচেনের মতো বানাব,’ বলেন শাওন।

আর টয়ার মতে, ‘সিম্পল ইজ দ্য বেস্ট। রান্নাঘরে ঢুকে যেন মনে না হয় আমি নিশ্বাস নিতে পারছি না। কেউ যদি সুন্দর ও পরিপাটি কিচেনে রান্না করে, তাহলে টেস্টও বদলে যায়।’

আরও পড়ুন