আউটডোর ফার্নিচারের যত্ন

একটু প্রশান্তির জন্য বারান্দা বা বাড়ির খোলা জায়গায় অবসর যাপনে ছোট আয়োজন থাকতেই পারে। চেয়ার-টেবিলে চায়ের গল্প গরমের বিকেলেই বেশি জমে ওঠে। কিন্তু গ্রীষ্মের সঙ্গী সূর্যের কড়া তাপ, যা বাইরের আসবাবের ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ ছাড়া ঘরের বাইরে স্বাভাবিকভাবেই ধুলা–ময়লাও জমে বেশি। আবার ভিন্ন ভিন্ন উপাদানে তৈরি ফার্নিচারের যত্নের ধরনও আলাদা। বেত, প্লাস্টিক, কাঠ, পেটা লোহা, অ্যালুমিনিয়াম আসবাব, এমনকি কুশনগুলোর যত্ন নিতে হবে আলাদাভাবে।

ছবি: পেকজেলসডটকম

প্লাস্টিক

ছবি: আনস্প্ল্যাশডটকম

এ ধরনের আসবাব পরিষ্কার করা সবচেয়ে সহজ। বিশেষজ্ঞরা প্লাস্টিকের আসবাবে প্রথমেই অল-পার্পাস ক্লিনার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যাতে থাকে প্রাকৃতিক তেল ও উপাদান। এতে সবচেয়ে ভালো ফল পাওয়া সম্ভব। পরিষ্কারের সময় অবশ্যই অমসৃণ প্যাড ব্যবহার করা যাবে না। এতে আসবাবে ঘষার দাগ লেগে যাবে। মাইক্রোফাইবার তোয়ালে ব্যবহারই যথাযথ।

পেটা লোহা

বাইরে ব্যবহারের জন্য রট আয়রনের আসবাব থাকে পছন্দের তালিকার প্রথমেই। কারণ এসব আসবাবের দীর্ঘস্থায়িত্ব। রট আয়রনের আসবাব পরিষ্কারে সাদা ভিনেগার সবচেয়ে কার্যকর। পরে পাতলা ও নরম প্যাড স্বাভাবিক পানিতে ভিজিয়ে মুছে নিতে হবে। খুব বেশি ক্ষার আছে, এমন পরিষ্কারক ব্যবহার না করাই ভালো।

অ্যালুমিনিয়াম

বারান্দা বা ছাদে অ্যালুমিনিয়ামের আসবাব বেশ আকর্ষণীয়। বিশেষ করে বেঞ্চ, টেবিল ও চেয়ারের ক্ষেত্রে এই উপাদানটির ব্যবহার বেশি। গাড়ি ধোয়ার জন্য যে ধরনের জেল ব্যবহার করা হয়, তা দিয়েই অ্যালুমিনিয়াম ফার্নিচার পরিষ্কার করা উচিত। এতে চকচকে ভাবটা দীর্ঘদিন থাকে।

প্রাকৃতিক উপাদানের আসবাব

ছবি: আনস্প্ল্যাশডটকম

প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে পড়ে বেত, বাঁশ ও কাঠ। এ ধরনের আসবাব সূর্যের ইউভি রশ্মিতে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া সূর্যের তাপে এর চকচকে ভাব ও রং নষ্ট হয়। তাই ব্যবহার না করা হলে কাভার দিয়ে বা ছায়াযুক্ত জায়গায় রাখাই ভালো। এগুলো যেহেতু ওজনে হালকা, তাই ব্যবহারে আরাম এবং চাইলেই ঘরে অথবা বাইরে নেওয়া সহজ।

ছবি: পেকজেলসডটকম

কাঠের আসবাব

কাঠের আসবাব দেখতে নান্দনিক হলেও এর যত্ন নিতে হয় বেশি। ফাঙ্গাস এ–জাতীয় আসবাবের সবচেয়ে বড় শত্রু। তাই এর পরিষ্কারে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। পিএইচ নিউট্রাল সাবান ও পানি দিয়ে কাঠের আসবাব পরিষ্কার করা উচিত। এ ছাড়া কাঠের আসবাবের জন্য কিছু তরল উপাদানও পাওয়া যায়, যা কাপড়ের সাহায্যে পরিষ্কারে ব্যবহার করা যায়।

কুশনের যত্ন

বালিশের কুশন খুলে পরিষ্কার করা গেলে তা সবচেয়ে বেশি সুবিধাজনক। যদি খোলার ব্যবস্থা না থাকে, তবে ভিনেগার মিশ্রিত পানিতে পরিষ্কার করে নিতে হবে।