দেশের স্থাপত্যচর্চায় অগ্রণী ভূমিকায় আছেন এমন দুজন প্রখ্যাত স্থপতি তানিয়া করিম এবং এন আর খান। দুই স্থপতি পরিচালনা করেন তাঁদের প্রতিষ্ঠান তানিয়া করিম, এন আর খান অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস (http://www.tknrk.com)। তাঁদের সাম্প্রতিক কাজগুলোর মধ্যে তিনটি বাড়ির অন্দরসজ্জা বিশেষ উল্লেখের দাবি রাখে। প্রযুক্তিজ্ঞান, নকশা উপাদানের সমসাময়িক ধারা সম্পর্কে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে নান্দনিকতার প্রতিফলন দেখা যায় তাঁদের সৃজনশীলতায়।
পেশাদার স্থপতিরা যেভাবে একই টাইপ ও ফাংশনকে বাড়ির বাসিন্দাদের পছন্দ ও জীবনধারার ওপর ভিত্তি করে নান্দনিক ও প্রযুক্তিগত জ্ঞানের সমন্বয় ঘটিয়ে অন্দরসজ্জাকে শিল্পকে উন্নীত করেন, তার প্রতিফলন দেখা যায় তিনটি বাড়ির অন্দরসজ্জায়। আজ আলোচনা করা হলো তেমন একটি বাড়ি নিয়ে।
বিদেশি অতিথিদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ রক্ষা এবং সময় কাটানোই এই ইন্টেরিয়র ডিজাইনের মূল কনসেপ্ট। সুবিশাল বাড়িটিতে সাদা মার্বেল ফ্লোর, ইউরোপিয়ান ফার্নিচার, ভাস্কর্যের ঝাড়বাতি সবকিছুর মিশেলে একটি আড়ম্বরপূর্ণ আভিজাত্যের বলয় তৈরি হয়েছে।
ইপোক্সি পেইন্টেড ডাইনিং টেবিলের চারপাশে রয়েছে ব্যালেরিনা লেগড চেয়ার। সেই নান্দনিকতাকে চারপাশ থেকে উপভোগ করার জন্য ওয়াল মিরর ও ট্রান্সপারেন্ট পার্টিশনটি ডিজাইন করা হয়েছে। স্কাল্পচারাস ডিফিউজ লাইটের ঝাড়বাতিটি বাড়তি পাওনা।
স্থপতি দল বাড়িটি সাজাতে প্রাধান্য দিয়েছেন বাসিন্দাদের পছন্দ। ইউরোপীয় সংস্কৃতির ছায়া রাখতে ইউরোপীয় ডিজাইন অনুষঙ্গ ব্যবহার করেছেন। এই বসার কর্নার সেটিংয়ে বুটিক ফার্নিচার, ভাস্কর্য রাখার টেবিল এবং লিমিটেড এডিশন কার্পেট মিলে একটি নজরকাড়া মুগ্ধতার কম্পোজিশন সৃষ্টি হয়েছে।
লেখক: স্থপতি ও ফ্যাশন ডিজাইনার