ঘরে বসে ব্যবসা শুরু করেছিলেন, এখন মাসে শুধু শাড়িই বিক্রি হয় এক হাজারের বেশি

করোনার ঘরবন্দী সময়ে  ‘একটা কিছু করা’র তাগিদ থেকে ব্যবসা শুরু করেছিলেন অনেকে। কেউবা নিতে চেয়েছেন নতুন এক চ্যালেঞ্জ। করোনাকাল যাঁদের উদ্যোক্তা বানিয়েছে, তাঁদের মধ্য থেকেই কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম আমরা। এখনো শক্ত হাতে ব্যবসার হাল ধরে আছেন তাঁরা। এখানে পড়ুন তিন বন্ধুর উদ্যোগের কথা

আশ্রাফ শাকিল, আবদুল্লাহ মোহাম্মদ আবেদ ও শহিদুল ইসলাম—পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়া তিন বন্ধুর করোনাকালের সময়টা একরকম ঘরে বসেই কাটছিল। করার কিছু নেই, পড়ালেখারও তেমন চাপ নেই।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

আশপাশের অনেকেই তখন নানা রকম ব্যবসার চেষ্টা করছেন। তিন বন্ধু ভাবলেন, রং করা কাপড়ের ব্যবসা করবেন। কেননা, তিন বন্ধুর একজনের এ ব্যাপারে ভালো ধারণা আছে। হাতে রং করা পাঞ্জাবি বানানো শুরু করলেন তাঁরা। অনলাইন কেনাকাটার বাজার তখন জমজমাট। অতএব আশ্রাফদের সাড়া পেতেও সময় লাগেনি।

সেই সময় চালু হওয়া ‘চিরকুট’ ও ‘চিরকুটওয়ালা’ নামের দুটি ফেসবুক পেজে এখন চার লাখের বেশি অনুসারী। ছোট পরিসরে যে ব্যবসা শুরু করেছিলেন তিন বন্ধু, এখন তা অনেক বড়। উদ্যোক্তারা জানান, প্রতি মাসে গড়ে এক হাজারের বেশি শাড়ি বিক্রি করেন তাঁরা। পাশাপাশি অন্য পণ্যের বিক্রিও আছে। শুধু অনলাইনেই নয়, বর্তমানে অফলাইনেও চলছে তিন বন্ধুর ব্যবসা। রাজধানীর খিলগাঁওয়ে তাঁদের নিজস্ব আউটলেটও আছে। সব মিলিয়ে প্রতি মাসে গড়ে সব ধরনের খরচ বাদ দিয়ে প্রায় দুই থেকে তিন লাখ টাকা লাভ থাকে।

ব্যবসার শুরুর সময় তাঁরা পড়তেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে। এখন ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে পুরকৌশল বিভাগে পড়ছেন। নিজেরাই নিজেদের পড়াশোনার খরচ জোগাচ্ছেন। শুরুতে পরিবারের একটু অমত থাকলেও ব্যবসার পরিধি বড় হওয়ার পর এখন সব ধরনের পারিবারিক সহযোগিতাই পাচ্ছেন তাঁরা।

চিরকুটওয়ালার অন্যতম উদ্যোক্তা আশ্রাফ শাকিল বলেন, ‘বর্তমানে অনলাইন, অফলাইন মিলে ১০ জন কর্মী চিরকুটওয়ালার জন্য কাজ করছে। ভবিষ্যতে চিরকুটওয়ালাকে একটা দেশ সেরা ক্লদিং ব্র্যান্ডে পরিণত করতে চাই এবং আরও অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে চাই। বাংলাদেশের চাকরির বাজার খুবই সংকীর্ণ। তাই সারা দেশে আমাদের ডিলার তৈরি করতে চাই, যেন আরও নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হয়।’