ডোপামিন ডিটক্সের সময় ফোন হাতে না নিলে করবেনটা কী?
এখন ডোপামিন রাশের সবচেয়ে বড় কারণ ‘মাইন্ডলেস স্ক্রলিং’। আর ঠিক এ কারণেই অনলাইন দুনিয়ায় ডুবে থাকা বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্তি এখন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আসক্তিগুলোর অন্যতম। ডিজিটাল ডিটক্স বা ডোপামিন ডিটক্স হলো সেই আসক্তি থেকে বিরতি নিয়ে স্বাস্থ্যকর, স্বাভাবিক জীবনে ফেরার প্রচেষ্টা।
ডোপামিন ডিটক্স বলতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ইন্টারনেট গেমিং বা জাঙ্ক ফুডের মতো তাৎক্ষণিক আনন্দ দেয়, এমন কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকাকে বোঝায়।
এর উদ্দেশ্য মনোযোগ বাড়ানো, অতিরিক্ত উত্তেজনা কমানো এবং মানসিক সুস্থতা বজায় রাখা। এই পদ্ধতিতে কিছু নির্দিষ্ট আনন্দদায়ক অথচ শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপ থেকে নিজেকে সাময়িকভাবে বিরত রেখে ডোপামিন রিসেপ্টরগুলোকে পুনরায় স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়।
প্রশ্ন হলো, সারা দিনে আপনি যদি প্রয়োজনের বাইরে ফোন ব্যবহার না করেন, স্ক্রিন টাইমের লাগাম ধরেন, তাহলে করবেনটা কী? আর হ্যাপি হরমোন ডোপামিনই-বা কীভাবে নিঃসরিত হবে? চলুন, চট করে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক এমন ৩০টি বিষয়ে, যাতে স্বাস্থ্যকর উপায়ে ডোপামিন হরমোনের নিঃসরণ হয়।
১. ভোরে ঘুম থেকে উঠুন। পানি বা ডিটক্স পানীয়ের গ্লাস হাতে সূর্যোদয় দেখুন।
২. ‘ভিশন বোর্ড’ তৈরি করুন। সেটি হতে পারে ১ সপ্তাহ, ১ মাস বা ৫ বছরের। শর্ট টার্ম ও লং টার্ম গোল নির্ধারণ করুন।
৩. কাছাকাছি কোনো বইয়ের দোকান বা পাঠাগারে ঢুঁ মারুন।
৪. ঘরবাড়ি গুছিয়ে রাখুন।
৫. একটা গাছ লাগান। জায়গা না থাকলে ইনডোর প্ল্যান্ট কিনুন, যত্ন নিন।
৬. লিফটের বদলে সিঁড়ি দিয়ে উঠুন।
৭. একটা কবিতা লিখুন, চেষ্টা করেই দেখুন না!
৮. বনে, জঙ্গলে বা নিদেনপক্ষে প্রাকৃতিক পরিবেশে হাঁটুন।
৯. সাঁতার কাটুন।
১০. প্রতিদিন সূর্যোদয় দেখার পাশাপাশি সূর্যাস্তও দেখুন।
১১. একটা গান গান। সেটা না হলে অন্তত গান শুনুন।
১২. প্রোটিন বা আমিষ খান।
১৩. খালি পায়ে ঘাসের ওপর হাঁটুন।
১৪. যেকোনো ধরনের পাজল মেলান।
১৫. দিনে ১০ মিনিট সময় রাখুন কিছুই না করার জন্য। এ সময় আপনি কিছুই করবেন না।
১৬. ওয়েট লিফটিং করুন, মানে ভারী কিছু তুলুন।
১৭. ‘টু ডু’ লিস্ট লিখুন।
১৮. বই পড়ুন। বই পড়ার অভ্যাস করুন।
১৯. আপনি কেন কৃতজ্ঞ—প্রতিদিন নোটবুকে একটা করে কারণ লিখুন।
২০. গাছে উঠুন।
২১. নিরিবিলি বসে থাকুন।
২২. খেলাধুলা করুন। দাবা খেলতে পারেন।
২৩. শৈল্পিক বা সৃষ্টিশীল কাজে নিজেকে নিয়োজিত করুন।
২৪. শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান।
২৫. অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, জামাকাপড় বিক্রি করে দিন। ঘর হালকা করুন।
২৬. রান্না শিখুন, নতুন কোনো রেসিপি চেষ্টা করুন।
২৭. ঘুরে বেড়ান। পাহাড়ে চড়ুন।
২৮. পডকাস্ট শুনুন।
২৯. একটা ছোট গল্প লিখুন।
৩০. ছোটবেলার বন্ধুকে ফোন করে মন খুলে গল্প করুন।
সূত্র: কি ফর সাকসেস