স্থাপত্যের শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক ব্যতিক্রম আয়োজন

আর্কিটেকচার অ্যান্ড বেয়ন্ড শীর্ষক আলোচনায় অতিথিরা
ছবি: সংগৃহীত

স্থাপত্যের শিক্ষার্থীদের শেষ বর্ষের স্টুডিও প্রকল্প নিয়েই একটি প্রদর্শনী আয়োজন করে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্থাপত্য বিভাগ। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের চিত্রশালায় এক অনাড়ম্বর আয়োজনের মধ্য দিয়ে পর্দা ওঠে সপ্তাহব্যাপী এ প্রদর্শনীর। অতিথি ছিলেন অধ্যাপক শামসুল ওয়ারেস, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, অধ্যাপক মুহাম্মদ আলী প্রমুখ।

আরও পড়ুন

স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ট্রাস্টি বোর্ডের উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ আলী বলেন, ‘স্থপতিরা স্থাপত্য নির্মাণ করেন ব্যবহারকারীদের জন্য। এ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের কথাই সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিতে হবে। এই ব্যবহারকারীরাই হলেন সাধারণ জনগণ। স্থপতিদের শিক্ষাজীবন থেকেই সংবেদনশীলতার চর্চা করতে হবে।’ স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্থাপত্য বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সাজিদ বিন দোজা বলেন, ‘স্থাপত্যের শিক্ষার্থীরা কী করছে, কী শিখছে, তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো জরুরি। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদেরও ভিন্ন মতের, ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষদের চেনাজানা প্রয়োজন। তখনই স্থপতি, স্থাপত্য ও এর ব্যবহারকারীদের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি সম্ভব। সে উদ্দেশ্যেই আমাদের এই আয়োজন।’

১ মার্চ একটি আলোচনার মধ্য দিয়ে পর্দা নামে আয়োজনের। ‘আর্কিটেকচার অ্যান্ড বেয়ন্ড’ শিরোনামের আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ক্ষেত্রের সফল মানুষেরা, যাঁরা স্থাপত্যের পড়াশোনা কাজে লাগিয়ে ব্যক্তিজীবনে একটু ভিন্ন কিছু করার চেষ্টা করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন স্থপতি রাশেদ চৌধুরী, যিনি স্থাপত্যের স্টুডিও ‘দেশার ওয়ার্কস’-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং গ্রাফিকস স্টুডিও ‘লাউডওয়ার্ক’–এর সহপ্রতিষ্ঠাতা। বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের স্থপতি রাশেদ চৌধুরী আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন।

আভাস ব্যান্ডের ভোকাল তুহিনও ছিলেন আলোচনায়। বুয়েটের স্থাপত্য বিভাগের স্নাতক এই সংগীতশিল্পী বলেন, ‘স্থাপত্যে পড়াশোনার সময় আমার মনে হয়েছে, গানের মাধ্যমেই চারপাশের অনেক ডিসটিউনকে আমি আঘাত করতে পারব আমার কথা দিয়ে, সুর দিয়ে। স্থাপত্য সেখানে আমাকে ব্যবস্থাপনা শিখিয়েছে।’ সামাজিক সংগঠন ‘ভূমিজ’-এর প্রতিষ্ঠাতা ফারহানা রশিদ, কো-ওয়ার্কিং স্পেস ‘মোড়’ এবং আসবাব নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘বহু বাংলাদেশ লিমিটেড’–এর প্রতিষ্ঠাতা নাবিলা নওরিন এবং সিক্স ইয়ার্ড স্টোরির উদ্যোক্তা জেরিন তাসনিম খানও উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষাজীবনে তাঁরা প্রত্যেকেই স্থাপত্যে পড়েছেন।

এ আয়োজন সর্বস্তরের মানুষের জন্য উন্মুক্ত ছিল।