জুলাই অভ্যুত্থানের মেয়েরা

বিদায় নিচ্ছে ২০২৪। বছরজুড়েই আমাদের তরুণদের অর্জন ছিল নানা অঙ্গনে। তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের অর্জন।

পুলিশের গাড়ির সামনে দাঁড়ানো নুসরাত যেন জুলাই অভ্যুত্থানে নারীশক্তির প্রতিচ্ছবি।ছবি: শুভ্র কান্তি দাশ

৩১ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে অনেকের সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন স্টামফোর্ড  ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের নূর আলম হাসান ও অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের নুসরাত জাহান। হাইকোর্টের মাজার গেট থেকে কিছুটা দূরে অবস্থানকালে তাঁদের ঘিরে ফেলে পুলিশ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আটক হন নূর। সে সময় দানবাকৃতির পুলিশ ভ্যানের পথ একাই রুখে দাঁড়ান নুসরাত। ‘ভাই’কে তিনি কোনোভাবেই নিয়ে যেতে দেবেন না। সেই একটি মুহূর্ত যেন পুরো জুলাই অভ্যুত্থানের নারীশক্তির একটুকরা প্রতিচ্ছবি।

পুরো আন্দোলনের সময়ই কখনো সরবে, কখনো আবার নীরবে অংশ নিয়েছেন নারীরা
ছবি: সাজিদ হোসেন

আন্দোলনের পুরোটা সময়ই এভাবে কখনো সরবে, কখনো আবার নীরবে অংশ নিয়েছেন নারীরা। কোটা সংস্কার থেকে শুরু করে এক দফা—সব পর্যায়েই তাঁরা ছিলেন সমান অংশীদার। রাজপথে শোনা গেছে তাঁদের কণ্ঠ; হয়েছেন রক্তাক্ত, সন্তান ও স্বজন হারানোর বেদনায় কেঁদেছেন। প্রাণ হারিয়েছে শিশু রিয়া, কিশোরী নাইমা থেকে শুরু করে নানা বয়সের অনেক নারী।

আন্দোলন–পরবর্তী সময়ে সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বেও মেয়েরা ছিলেন সক্রিয়
ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

আন্দোলন–পরবর্তী সময়ে সড়কে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বেও মেয়েরা ছিলেন সক্রিয়। দেশময় দেয়ালে দেয়ালে রঙিন গ্রাফিতি এঁকেছেন তাঁরা। সব মিলিয়ে আন্দোলনের সব পর্যায়েই মেয়েদের উপস্থিতি ছিল স্বতঃস্ফূর্ত।