অতিরিক্ত ভিটামিন ডি নিচ্ছেন না তো?

অনেকের শরীরেই ভিটামিন ডি–সম্পর্কিত জটিলতা দেখা যায়। সবাই সাধারণত এর স্বল্পতায় ভোগেন। তবে অনেকের ক্ষেত্রে উল্টোটাও দেখা যায়। আমাদের শরীরে ভিটামিন ডি-এর মূল উৎস বিভিন্ন খাবার বা সূর্যের আলো। তবে এগুলো থেকে নয়, ভিটামিন ডি-এর আধিক্য হয় মূলত পিল বা সাপ্লিমেন্ট থেকে। এর একটা গালভরা নামও আছে। হাইপারভিটামিনোসিস ডি। জেনে নিন এর লক্ষণগুলো।

সূর্যের আলো আমাদের দেয় মহামূল্যবান ভিটামিন ডিছবি: পেক্সেলস

বমিভাব

শরীরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ বেড়ে গেলে অনুভব করতে পারেন বমি বমি ভাব। এমনকি বমিও হতে পারে। এমনটা হলে ভিটামিন ডি পিল বা সাপ্লিমেন্ট খাওয়া বন্ধ করে দিন। নির্ভর করুন কেবল ভিটামিন ডি–সমৃদ্ধ খাবারের ওপর।

খাওয়ায় অরুচি

রুচি কমে গেলে অবশ্যই পরীক্ষা করে দেখুন আপনার শরীরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ। কারণ, এর স্বল্পতা বা আধিক্য—দুই কারণেই এটা হতে পারে। বেড়ে গিয়ে থাকলে সাপ্লিমেন্ট বা পিল খাওয়ার পরিমাণ কমাতে হবে।

ক্যালসিয়ামের আধিক্য

শরীরে ভিটামিন ডি বেড়ে গেলে আপনার রক্তে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। একে বলে হাইপারক্যালসেমিয়া। এর ফলে হতে পারে বমিভাব, শারীরিক দুর্বলতা ও বারবার প্রস্রাবের বেগ।

কিডনির জটিলতা

হাইপারক্যালসেমিয়া থেকে আপনার কিডনিতে হতে পারে পাথর। কিংবা ক্যালসিয়াম জমে হতে পারে নেফ্রোক্যালসিনোসিস। স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে কিডনি। দেখা দিতে পারে মূত্রাশয়–সম্পর্কিত জটিলতা।

হাড়ের সমস্যা

আপনার হাড় সুস্থ রাখতে শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ডি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। তবে তার আধিক্য বাধা দিতে পারে ভিটামিন কেটু-এর জোগানে। এই ভিটামিন নিশ্চিত করে হাড়ে ক্যালসিয়ামের পর্যাপ্ত উপস্থিতি।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া