সমুদ্র ও নদীর তলদেশে তৈরি বিশ্বের দীর্ঘতম ৫ টানেল

যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। সুড়ঙ্গপথটি চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে আনোয়ারা উপজেলাকে যুক্ত করেছে। সংযোগ সড়কসহ ৯ দশমিক ৩৯ কিলোমিটার টানেলটির ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার রয়েছে নদীর তলদেশে। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম সড়ক টানেল। তবে নদীর তলদেশে বিশ্বের প্রথম টানেল হলো—টেমস টানেল। যুক্তরাজ্যের টেমস নদীর তলদেশে ১৮৪৩ সালে চালু হয়। বর্তমানে বিশ্বে প্রায় ২০০টির মতো ডুবো টানেল রয়েছে। এখানে বিশ্বের দীর্ঘতম পাঁচটি টানেলের তথ্য রইল।

সেইকান টানেল

১ / ৫
জাপানের সুগারু প্রণালির মধ্য দিয়ে গেছে সেইকান ডুয়েল গেজ রেলপথ। ১৯৮৮ সালে চালু হওয়া সেইকান টানেল ৫৩ দশমিক ৮ কিলোমিটার লম্বা, সাগরের তলদেশে যার দৈর্ঘ্য ২৩ দশমিক ৩ কিলোমিটার। এটি জাপানের হনসু দ্বীপকে হোক্কাইডোর সঙ্গে যোগ করেছে
ছবি: রয়টার্স

চ্যানেল টানেল

২ / ৫
যুক্তরাজ্যের ফোকস্টোন শহরকে ফ্রান্সের ক্লেঁ শহরের সঙ্গে যুক্ত করেছে চ্যানেল টানেল। ৫০ দশমিক ৪ কিলোমিটার টানেলটির ৩৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার পড়েছে সাগরের তলদেশে। এটি সমুদ্রের নিচে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘতম রেললাইন। চ্যানেল টানেল ১৯৯৪ সালে উদ্বোধন করা হয়
ছবি: সংগৃহীত

টোকিও বে অ্যাকুয়া-লাইন

৩ / ৫
জাপানের কিসারাজু ও কাওয়াসাকি শহরকে সংযুক্ত করেছে টোকিও বে অ্যাকুয়া-লাইন টানেল। জাপান উপসাগরের তলদেশে তৈরি টানেলটি ট্রান্স-টোকিও বে এক্সপ্রেসওয়ে নামেও পরিচিত। সব মিলিয়ে ২৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এক্সপ্রেসওয়েটির ৯ দশমিক ৬ কিলোমিটার ছুঁয়েছে সাগরের তলদেশ। ১৯৯৭ সাল থেকে যান চলাচল করছে টানেলটির মধ্য দিয়ে
ছবি: সংগৃহীত

বমলাফিয়র্ড টানেল

৪ / ৫
৭ দশমিক ৮২ কিলোমিটার লম্বা বমলাফিয়র্ড টানেল নরওয়ের ফয়নো দ্বীপকে স্থলভাগের দালসভদা এলাকার সঙ্গে যুক্ত করছে। তিন লেনের টানেলটি ২০০০ সালে গাড়ি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়
ছবি: সংগৃহীত

আইকসান্ড টানেল

৫ / ৫
২০০৮ সালে চালু হওয়া টানেলটিও নরওয়েতে আছে। ৭ দশমিক ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ আইকসান্ড টানেল নরওয়ের মূল অংশের সঙ্গে এইকা দ্বীপকে যুক্ত করেছে
ছবি: সংগৃহীত

সূত্র: স্কাইনিউজ ও উইকিপিডিয়া