পুরো প্রতিযোগিতা দুটি অনলাইন ও একটি অফলাইন পর্বে ভাগ করা ছিল। অনলাইনে ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় কনক্রিট আইডিয়া প্রতিযোগিতা। এতে অংশ নেয় ৩০টি দল। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে চুয়েটের টিম গ্রুট, ইস্টওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ইনকুইজিটিভ এবং চুয়েটের মকিং বার্ড।
১৯ জানুয়ারি অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয় আন্তর্জাতিক কনক্রিট স্ট্রাকচার ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা। এসব প্রতিযোগিতায় অংশ নেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ফিলিপাইনের শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক স্ট্রাকচার ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতাটিতে অংশগ্রহণ করেন। এতে প্রথম ও দ্বিতীয় হয়েছেন যথাক্রমে চুয়েটের শিক্ষার্থী তানভীর আহম্মেদ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইফতেখারুল ইসলাম।
দুই দিনব্যাপী অফলাইন আয়োজনে গত শুক্রবার প্রথম দিনে ছিল সেলফ কম্প্যাক্টিং কনক্রিটবিষয়ক সেমিনার। পুরকৌশল বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সেমিনারে বক্তব্য দেন পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক জি এম সাদিকুল ইসলাম। গতকাল শনিবার চুয়েটে অনুষ্ঠিত হলো ‘ন্যাশনাল গেম অব ট্রাস’ শীর্ষক প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এতে ৩৯টি দল অংশ নেয়। ছয়টি দলকে পুরস্কৃত করা হয়। চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চুয়েটের সাউথ-১০২।
পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক জি এম সাদিকুল ইসলাম বলেন, কোভিড–পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের মানসিক পরিবেশ সুস্থ রাখতে পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি এ ধরনের প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরণা দেবে।
শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুরকৌশল অনুষদের ডিন মো. মইনুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক রেজাউল করিম, এসিআই চুয়েট স্টুডেন্ট চ্যাপটারের অনুষদ উপদেষ্টা জি এম সাদিকুল ইসলাম, ফেনীর গণস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী অনুপম দে, গণপূর্ত অধিদপ্তর চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন আহমদ এবং ডায়মন্ড সিমেন্টের পরিচালক হাকিম আলী। পুরো অনুষ্ঠানের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিল ডায়মন্ড সিমেন্ট লিমিটেড ও ডিসিএল ব্লক। বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীদের সনদ, ক্রেস্ট ও শুভেচ্ছা উপহার দেওয়া হয়।