ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের বিচারকদের মধ্যে আছেন বাংলাদেশি দুই তরুণ

শমী হাসান চৌধুরী ও রিজভী আরেফিন
ছবি: সংগৃহীত

শতাধিক সমাজসেবী সংগঠনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন ব্রিটিশ যুবরাজ চার্লসের প্রথম স্ত্রী প্রিন্সেস ডায়ানা। গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে তাঁর স্মরণে সমাজসেবায় যুক্ত তরুণদের দেওয়া হয় ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড। প্রিন্সেস ডায়ানার দুই ছেলে উইলিয়াম ও হ্যারি সরাসরি এ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত।

আরও পড়ুন

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন তরুণ এই সম্মানজনক পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। এ বছর মনোনয়ন গ্রহণ শেষ হয়েছে গত ১০ মার্চ। জুন-জুলাইয়ের মধ্যে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নাম ঘোষণা করার কথা। বিজয়ীর তালিকায় বাংলাদেশি কেউ থাকবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। তবে বিচারকদের মধ্যে আছেন এ দেশের দুই তরুণ—শমী হাসান চৌধুরী ও রিজভী আরেফিন। দুজনই অ্যাওয়ারনেস থ্রিসিক্সটি নামের একটি অলাভজনক সংস্থার সহপ্রতিষ্ঠাতা।

শমী ২০১৯ সালে ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড ও ডায়ানা লিগ্যাসি অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন। ২০২০-২১ সালেও ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের বিচারকার্যের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। শমী বলেন, ‘সারা পৃথিবীর আরও নানা প্রান্তের বিচারকদের সঙ্গে সরাসরি ২০২৩ সালের ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডে বিচারকার্যে থাকতে পারাটা সত্যিই আমার জন্য এক বড় সম্মান। আমি নিজেও যেহেতু ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি, এই পুরস্কার তরুণদের নেতৃত্বের যাত্রায় কত বড় ভূমিকা রাখতে পারে, সেটা ভালো করেই জানি। সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছেন, এমন আরও তরুণকে এই সুযোগ দেওয়ার কার্যক্রমে ভূমিকা রাখতে পারব, ব্যাপারটা আমার জন্য বেশ রোমাঞ্চকর।’

রিজভী আরেফিনও এর আগে ২০২১ সালে ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। পরের বছর বিচারক হিসেবে যুক্ত ছিলেন তিনি। রিজভী বলেন, ‘পরপর দুই বছর ডায়ানা অ্যাওয়ার্ডের বিচারকার্যে যুক্ত থাকতে পারাটা খুবই অনুপ্রেরণাদায়ক। বিশ্বজুড়ে তরুণদের দারুণ সব কাজের কথা এই সুযোগে জানতে পারব। পাশাপাশি নানা দেশের বিচারকদের সঙ্গেও যোগাযোগ হবে।’

৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী কিশোর-তরুণ, যাঁরা সমাজ বা মানবতার জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রাখছেন, তাঁদের ডায়ানা অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। পুরস্কারের মনোনয়ন প্রসঙ্গে বিস্তারিত জানা যাবে এই লিংকে