লন্ডনে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে যেভাবে অংশ নিলাম

ভিনদেশি বন্ধুদের সঙ্গে লেখক
ছবি: সংগৃহীত

সারা বিশ্বে নানা কারণে বাড়ছে লিঙ্গবৈষম্য। সেই বৈষম্য কমানো নিয়েই কাজ করছে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের জেন্ডার রেসপন্সিভ রিজিলিয়েন্স অ্যান্ড ইন্টারসেকশনালিটি ইন পলিসি অ্যান্ড প্র্যাকটিস (গ্রিপ)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে, যার সঙ্গে যুক্ত আছি আমিও। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষে আমি এ কার্যক্রমে যুক্ত হই। লাতিন আমেরিকা, ক্যারিবিয়ান অঞ্চল, আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া ও যুক্তরাজ্যের তরুণেরাও এর সঙ্গে যুক্ত। গত ৩০ এপ্রিল আমাদের কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই একটি সম্মেলনে অংশ নিতে এক সপ্তাহের জন্য গিয়েছিলাম লন্ডনে।

নানা দেশের তরুণেরা অংশ নিয়েছিলেন সম্মেলনে
ছবি: সংগৃহীত

নানা দেশের তরুণদের সঙ্গে কথা হলো এ সুযোগে। আর্জেন্টিনার ভ্যালেন্টিনা দ্য মার্কো, পেরুর মারিয়াপিয়া গায়ায়কোচি, ভারতের আসলাম আসাদ, দক্ষিণ আফ্রিকার ওমোগোলো তাওনিয়ানি, তানজানিয়ার মারিয়া মাতুই, ব্রাজিলের লুকাস মানা—সবাই পৃথিবীর কল্যাণে ভূমিকা রাখতে চান।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

লন্ডনে এটাই আমার প্রথম যাওয়া। বাসে চড়ে শহরটা দেখার মজা অন্য রকম। একা বেরোলে অবশ্য একটু খোঁজখবর নিয়ে বের হওয়া উচিত। আমি একবার বাসে ভুল জায়গায় নেমে পড়েছিলাম। তারপর অনেকটা পথ হাঁটতে হয়েছে। তখন ঢাকার রিকশা মিস করছিলাম খুব। কিন্তু অচেনা একটা শহরে একা একা হাঁটার অভিজ্ঞতাও অন্য রকম।

বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে গিয়েছিলেন মাসুমা মরিয়ম
ছবি: সংগৃহীত

ভিনদেশি বন্ধুদের সঙ্গেও সময়টা দারুণ কেটেছে। আর্জেন্টিনার ভ্যালেন্টিনা যেমন বাংলাদেশের মানুষের ফুটবলপ্রীতির কথা জানেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ওমোগোলোর সঙ্গে আবার কথা হলো আফ্রিকার দেশগুলোতে চলমান বৈষম্য নিয়ে। সবার কাছেই আমি বাংলাদেশের তরুণদের নানা উদ্যোগের কথা বলেছি। বলেছি এ দেশের জলবায়ু–ঝুঁকির কথা। সবাইকে এ দেশে আসার আমন্ত্রণও জানিয়েছি।