সকাল-বিকেলের নাশতা

সকালে বা বিকেলে ভরপেট খাবার নয়-এই সময়ে নাশতা খেতে ভালোবাসেন অনেকেই। বাড়িতে বানাতে পারেন এমন কিছু নাশতা। রেসিপি: ফারাহ্‌ সুবর্ণা
পিৎজা বন
পিৎজা বন



পিৎজা বন

উপকরণ: ময়দা ২ কাপ, ড্রাই ইস্ট ১ চা-চামচ, চিনি ২ টেবিল চামচ, তরল দুধ ১ কাপ (হালকা গরম), সসেজ ৮টি, ক্যাপসিকাম ১টি, টমেটো ১টি, মোজারেলা চিজ প্রয়োজনমতো, টমেটোর সস প্রয়োজনমতো, ডিম ১টি, মেয়োনেজ ৪ টেবিল চামচ।

প্রণালি: গরম দুধে ইস্ট ও চিনি মিশিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এরপর ময়দার সঙ্গে এই মিশ্রণ ভালোভাবে মিশিয়ে গরম জায়গায় ১ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এক ঘণ্টা পর খামিরটা ফুলে উঠলে আবারও তা ভালোভাবে মেখে আধা ঘণ্টার জন্য আবারও ঢেকে রাখতে হবে।
টমেটো ও ক্যাপসিকাম পাতলা ছোট করে কেটে মেয়োনেজ ও অল্প চিনি দিয়ে মিশিয়ে রাখতে হবে।
খামির থেকে সমান ভাগে ভাগ করে নিয়ে বনরুটির মতো ওপর দিকটা একদম গোলাকার না করে ওপর নিচ সমান আকারে তৈরি করে তাতে ইচ্ছা অনুযায়ী ৩ থেকে ৪টি সসেজ লম্বালম্বি বসিয়ে দিতে হবে। এরপর ওপরে ফেটানো ডিম ব্রাশ করে তার ওপর মেয়োনেজের মিশ্রণ এবং একদম ওপরে মোজারেলা চিজকুচি ও টমেটোর সস ছড়িয়ে ওভেনে ১৬০ ডিগ্রিতে ৮-১০ মিনিট বেক করে নামিয়ে নিলেই মজাদার পিৎজা বন তৈরি।

মিনি চিকেন বার্গার
মিনি চিকেন বার্গার



মিনি চিকেন বার্গার

উপকরণ
চিকেন কিমা ২৫০ গ্রাম, মিনি বনরুটি ৫টা, পেঁয়াজ কুচি ২ টেবিল চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, ব্রেড ক্রাম্ব ১ কাপ, তরল দুধ সিকি কাপ, মেয়োনেজ ও লেটুসপাতা প্রয়োজনমতো, টমেটো ২টি, টমেটোর সস প্রয়োজনমতো, লবণ স্বাদমতো, তেল ভাজার জন্য।

প্রণালি
চিকেন কিমা, পেঁয়াজ কুচি, গোলমরিচের গুঁড়া, ব্রেড ক্রাম্ব, তরল দুধ ও স্বাদমতো লবণ একসঙ্গে ভালো করে মেখে ভেজা হাত দিয়ে সমান ভাগে ভাগ করে প্রতিটি ভাগকে চ্যাপ্টা প্যাটি আকারে গড়ে ব্রেড ক্রাম্বে গড়িয়ে তেলে ভেজে কিচেন টিস্যুতে তুলে নিতে হবে। মাঝারি আঁচে প্রতি পাশ পাঁচ মিনিট করে ভাজলেই হবে।
একটা পাত্রে প্রয়োজনমতো মেয়োনেজ আর সস মিশিয়ে নিতে হবে। এবার বনরুটিগুলোকে মাঝ বরাবর কেটে তাতে মেয়োনেজ মাখিয়ে প্রথমে লেটুসপাতা দিয়ে তার ওপর পাতলা গোল করে কাটা টমেটো দিতে হবে। পরে তার ওপর চিকেন প্যাটি, এর ওপর আবারও টমেটো ও কাঁচা পেঁয়াজের গোল রিং দিয়ে এর ওপর বনরুটির বাকি অংশ দিয়ে ঢেকে টুথপিকে আটকে পরিবেশন করতে হবে। যাঁরা ‘ইয়েলো মাস্টারড’ পেস্টের স্বাদ পছন্দ করেন, তাঁরা প্যাটির ওপর সেটিও ব্যবহার করতে পারেন। ছোটদের জন্য মেয়োনেজের বদলে প্রসেসড চিজ বা মাখনও ব্যবহার করতে পারেন।

ফ্রুট ট্রায়ফল
ফ্রুট ট্রায়ফল



ফ্রুট ট্রায়ফল

উপকরণ
স্পঞ্জ কেক ৫ টুকরা, আম ২টি, লাল ও সবুজ আঙ্গুর ১৫টি, কিউই ফল ২টি, ছোট মিষ্টি আনারস ১টি, নাশপাতি ১টি, চেরি ১৫টি, কাস্টার্ড পাউডার ৩ টেবিল চামচ, তরল দুধ ১ লিটার, হুইপড ক্রিম ১ প্যাকেট, চিনি স্বাদমতো।

প্রণালি
স্পঞ্জ কেক, আম, আনারস ও নাশপাতি ছোট কিউব করে কেটে নিতে হবে। আঙুরের দানা ফেলে পছন্দমতো লম্বালম্বি অথবা গোল করে কেটে নিতে হবে। কিউই খোসা ছাড়িয়ে কিছু পাতলা গোল করে আর কিছু কিউব বা তিন কোনা করে কেটে নিতে হবে। তরল দুধ থেকে পৌনে ১ কাপ দুধ তুলে রেখে বাকিটা চুলায় দিয়ে ফুটে উঠলে আলাদা করে রাখা দুধ থেকে অল্প দুধে কাস্টার্ড পাউডার ও স্বাদমতো চিনি মিশিয়ে ঘন কাস্টার্ড তৈরি হলে নামিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে। বাকি তরল দুধ ব্যবহার করে প্যাকেটের গায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী হুইপড ক্রিম তৈরি করে নিতে হবে।
এবার কাচের বড় বাটিতে প্রথমে কেকের লেয়ার সাজিয়ে তার ওপর সুগার সিরাপ অথবা অরেঞ্জ জুস ছড়িয়ে দিতে হবে। তারপর কাস্টার্ডের লেয়ার দিয়ে বাটির ভেতর দিকের চারপাশ দিয়ে কিউই দিয়ে সাজিয়ে ভেতরে মিক্সড ফ্রুট দিয়ে তার ওপর হুইপড ক্রিমের লেয়ার দিতে হবে। এভাবে যে কটা খুশি লেয়ার দিয়ে একদম ওপরে হুইপড ক্রিমের লেয়ার দিয়ে ওপরে কালারফুল ফলের টুকরো দিয়ে সাজিয়ে ঠান্ডা করে পরিবেশন করতে হবে। স্পঞ্জ কেকের বদলে সুইস রোলও ব্যবহার করা যেতে পারে। ফ্রুট ককটেলও অনায়াসে ব্যবহার করা যেতে পারে। স্ট্রবেরি ব্যবহার করলে দেখতে খুব সুন্দর লাগে।

হানি চিকেন উইংস
হানি চিকেন উইংস



হানি চিকেন উইংস

উপকরণ
চিকেন উইংস (মুরগির ডানা) ১০ পিস, মধু ৪ টেবিল চামচ, সয়াসস ৫ টেবিল চামচ, ভিনেগার ১ টেবিল চামচ, আদা কুচি ১ চা-চামচ, রসুন কুচি ১ চা-চামচ, পাপরিকা পাউডার ১ চা-চামচ, পেঁয়াজপাতা ও সাদা তিল সাজানোর জন্য, লবণ স্বাদমতো, তেল বা মাখন ১ টেবিল চামচ।

প্রণালি
চিকেন উইংসগুলোকে দুই টুকরা করে কেটে ভালো করে ধুয়ে সয়াসস, ভিনেগার আর পাপরিকা পাউডার মাখিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। তারপর প্যানে তেল/মাখন দিয়ে তাতে আদা-রসুনকুচি দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে তাতে মেরিনেট করা চিকেন উইংসগুলো দিয়ে দিতে হবে। কম আঁচে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রান্না করতে হবে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরপর নেড়ে দিতে হবে, যাতে না পুড়ে যায়। এর মাঝে একবার দেখে নিতে হবে যে লবণ ঠিক আঁচে কি না। মনে রাখতে হবে, সয়াসস যথেষ্ট লবণাক্ত হয়ে থাকে। তাই টেস্ট না করে লবণ দেওয়া ঠিক হবে না। ১০ মিনিট পর তাতে মধু দিয়ে আরও মিনিট পাঁচেক রান্না করে একদম শুকনো হয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে। তারপর ওপরে পেঁয়াজপাতা কুচি বা সাদা তিল দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।

কাবাব রোল
কাবাব রোল



কাবাব রোল

উপকরণ
পরোটা ৪টি, গরু বা মুরগির কিমা ৫০০ গ্রাম, পেঁয়াজ ২টি (বড়), বেসন ২ টেবিল চামচ, মরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, হলুদের গুঁড়া আধা চা-চামচ, জিরার গুঁড়া আধা চা-চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা-চামচ, কাবাব চিনিগুঁড়া আধা চা-চামচ, গরমমসলার গুঁড়া আধা চা-চামচ, খোসাসহ পেঁপেবাটা ১ চা-চামচ, আদাবাটা ১ চা-চামচ, রসুনবাটা আধা চা-চামচ, ডিম ১টি, লেবু ১টি, পুদিনাপাতা ২ মুঠো, কাঁচা মরিচ ৪টি, লবণ স্বাদমতো, ঘি ২ টেবিল চামচ।

প্রণালি
কিমা, ১টি পেঁয়াজ, মরিচ-হলুদ-জিরা-গোলমরিচ-কাবাব চিনি-গরমমসলার গুঁড়া, পেঁপে-আদা-রসুনবাটা, ২টি কাঁচা মরিচ, বেসন ও স্বাদমতো লবণ দিয়ে মেশিনে অথবা শিল-পাটায় মিহি করে বেটে নিতে হবে। তারপর এর সঙ্গে পরিমাণমতো ফেটানো ডিম মিশিয়ে কমপক্ষে ১০ মিনিট মাখাতে হবে। এটি কিমাকে তাড়াতাড়ি নরম হতে সাহায্য করবে। এরপর ১ ঘণ্টা ঢেকে রেখে দিতে হবে। ১ ঘণ্টা পর কিমাগুলো সমান ভাগে ভাগ করে রোলের মতো করে তৈরি করে নিতে হবে। তারপর চুলায় তাওয়া গরম করে অল্প ঘি ছড়িয়ে কম আঁচে ভেজে নিতে হবে।
পুদিনাপাতা, কাঁচা মরিচ, লেবুর রস আর অল্প লবণ দিয়ে চাটনি বানিয়ে রাখতে হবে।
পরোটা তেল ছাড়া ভেজে নিয়ে তাতে কিমার রোল, পুদিনা পাতার চাটনি ও পেঁয়াজ কুচি দিয়ে গোল করে মুড়িয়ে রোল তৈরি করে সালাদসহ পরিবেশন করতে হবে।