কাঁঠালের জাতভাই ডুরিয়ান খেয়ে কেমন লাগল বিল গেটসের?
মানুষ নতুন জায়গায় গেলে নতুন নতুন খাবারের স্বাদ নেওয়ার চেষ্টা করেন। মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর একজন বিল গেটসও এর ব্যতিক্রম নন। গত মে মাসে গিয়েছিলেন সিঙ্গাপুরে। তাই দেশটির জনপ্রিয় নিউটন ফুড সেন্টারে হরেক পদের স্থানীয় খাবারের পাশাপাশি ডুরিয়ান নামের ফলটির স্বাদ নিতেও ভোলেননি। ডুরিয়ানকে আমাদের কাঁঠালের জাতভাই বলা চলে। কটু ঘ্রাণের কারণে অনেকেই এই ফল থেকে শত হাত দূরে থাকতে চান। বিল গেটসের কেমন লাগল?
গত মে মাসে ‘ফিলাথ্রপি এশিয়া’ সম্মেলনে যোগ দিতেই মূলত সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন বিল গেটস। ৬ মে তাঁকে দেখা গেছে নিউটন ফুড সেন্টারে। ছোট একটা দলের সঙ্গে খেতে গিয়েছিলেন সেদিন। চেখে দেখেছেন চিকেন রাইস, সাঁতেসহ স্থানীয় বিভিন্ন খাবার।
বিল গেটসকে সেই জায়গায় আবিষ্কার করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একাধিক কনটেন্ট ক্রিয়েটর।
‘মাদারশিপ’ নামের এক ইউটিউব চ্যানেলের ১৩ মিনিটের ফুডভ্লগে বিল গেটসকে দেখা যাচ্ছে কাবাব, পরোটা থেকে শুরু করে লেবুর শরবত খেতে। সে সময় আড্ডাও জমেছিল বেশ। কাবাব, পরোটার পাশাপাশি সাঁতে নামের ঝোলওয়ালা মাংস খেয়ে দেখেছেন বিল। ফিশ বল স্যুপ আর চিকেন রাইসও ছিল পাতে। সিঙ্গাপুরের নিউটন ফুড সেন্টারের পরিবেশ নাকি তাঁকে বেশ মুগ্ধ করেছে।
২০১৮ সালের ব্লকবাস্টার সিনেমা ‘ক্রেজি রিচ এশিয়ানস’–এর কারণে নিউটন ফুড সেন্টার আন্তর্জাতিকভাবে বেশ জনপ্রিয়। সিনেমায় দেখানো সেন্টারটির প্রাণবন্ত পরিবেশ এবং বৈচিত্র্যময় রন্ধনপ্রণালি আগ্রহজাগানিয়া।
আইকনিক এই ফুড সেন্টার ‘হকার সেন্টার’ নামেও পরিচিত। সিঙ্গাপুর ট্যুরিজম বোর্ড স্থানীয় সব খাবারের স্বাদ নেওয়ার জন্য এলাকাটিকে পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে তুলে ধরে। এর গোড়াপত্তন ১৯৭১ সালে। আর এটি এখন সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে জনপ্রিয় হকার সেন্টারগুলোর একটি।
বিল গেটস নিজের অলাভজনক সংস্থা গেটস ফাউন্ডেশনের একটি অফিস সিঙ্গাপুরে খুলবেন বলে জানিয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যমের ভাষ্যে, বিল গেটস একটি ভিডিও শুটিংয়ের মাঝখানে ছিলেন বলে মনে হয়। নিউটন ফুড সেন্টারে বিল গেটসের খাবার খাওয়ার দৃশ্য ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভিডিও আর রিলসের মাধ্যমে।
এসব ভিডিওর একটাতেই বিল গেটসকে দেখা গেছে ডুরিয়ান খেতে। সে সময় তাঁর হাতে ছিল গ্লাভস আর মুখে? তাঁর অভিব্যক্তি দেখে যা বোঝা গেল, তাতে ডুরিয়ান ফলটা যে খুব ভালো লেগেছে, তা হলফ করে বলার জো নেই! ডুরিয়ানের গন্ধ বেশ কটু, সে কারণেই হয়তো তাঁর চেহারায় তেমন ভালো অভিব্যক্তি ফুটে ওঠেনি।
ডুরিয়ান অবশ্য চীন ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বেশ জনপ্রিয়। আমাদের দেশের কাঁঠালের মতো অনেকটা। শক্ত খোসা কাঁটাওয়ালা, রং বাদামি-সবুজ। কাঁঠালের মতোই খোসা ছাড়িয়ে খেতে হয়।
সূত্র: দ্য সান