মাস্টারশেফ কিশোয়ারের সঙ্গে এক সন্ধ্যা

কিশোয়ার চৌধুরী সঙ্গে চলছে রান্নাবিষয়ক আলাপচারিতা
ছবি : অগ্নিলা আহমেদ

বাবা–মা দুজনই রান্না করতে ভালোবাসতেন, বাবা বাঙাল আর মা ছিলেন ঘটি, এই নিয়ে রান্নাঘরে খুনসুটিও কম হতো না। আর এসব দেখে রান্না ছাড়া জীবনে আর যে কিছু আছে, তা তিনি ভাবতেই পারতেন না। এমনইভাবে নিজের ছেলেবেলার স্মৃতিচারণা করলেন মাস্টারশেফ কিশোয়ার চৌধুরী। ১৮ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে রান্নাবিষয়ক এক আলাপচারিতায় মূল বক্তা ছিলেন কিশোয়ার চৌধুরী। বিশেষ এই আয়োজন করে বেঙ্গল মিট।

বেঙ্গল মিটের কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে কিশোয়ার
ছবি : অগ্নিলা আহমেদ

এই আয়োজনে রান্নার প্রতি আগ্রহ, ভালোবাসা, মাস্টার শেফ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণসহ আরও অনেক বিষয় দর্শকদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেন কিশোয়ার। জানান, শৈশব থেকেই রান্নার প্রতি তাঁর বিশেষ আগ্রহ। বাবা ও মা দুই অঞ্চলের মানুষ হওয়ার কারণে তাঁদের বাড়িতে ছিল রান্নার বৈচিত্র্য। কিশোয়ার জানালেন, ঢাকার স্ট্রিট ফুডের প্রতি তাঁর বিশেষ আগ্রহের কথা। বিরিয়ানি, কাবাব, ঝালমুড়ি, নেহারি, পায়া—এ ধরনের ঢাকাইয়া খাবারের প্রতি তাঁর বিশেষ টান আছে। ভবিষ্যতে বাঙালি ঐতিহ্যবাহী খাবারকে বিশ্বদরবারে পরিচিত করতে চান তিনি। রান্নাবিষয়ক নানা তথ্য দিয়ে নতুন রন্ধনবিদ আর শেফদের উৎসাহ দেন তিনি।

রান্নাবিষয়ক নানা তথ্য দিয়ে নতুন রন্ধনবিদ আর শেফদের উৎসাহ দিলেন কিশোয়ার
ছবি : অগ্নিলা আহমেদ

এই আয়োজনে বেঙ্গল মিটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম আসিফ, দেশসেরা রাঁধুনিবিদসহ বেঙ্গল মিটের কর্তাব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। আয়োজনের শুরুতে তাঁদের পুরো কার্যক্রম নিয়ে একটি বিশেষ ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করে বেঙ্গল মিট। যেখানে স্বাস্থ্যসম্মত ও বৈজ্ঞানিক উপায়ে পশুপালন ও হালাল পদ্ধতিতে পশু জবাইয়ের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। এ এস এম আসিফ জানান, বরাবরই ক্রেতাদের কথা বিশেষভাবে মাথায় রাখে বেঙ্গল মিট।