রেস্তোরাঁয় একা খেতে ভালোবাসেন? এই সপ্তাহে সাধ মিটিয়ে খান

১ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি রেস্তোরাঁয় গিয়ে একা খাবার উপভোগ করতে পারবেন

এই কে কে খেতে যাবে? বাইরে খেতে যাওয়ার সময় দল ভারী করে যাওয়ার রেওয়াজ বহু পুরোনো। তবে এই ধারা বদলে যাওয়ার একটা ইশারা দিচ্ছে ২০২৩ সাল। নতুন প্রজন্মের খাদ্যপ্রেমীরা রেস্তোরাঁয় একা যাবেন এবং সেখানে নিজেকেই শুধু সময় দেবেন। একা খেতে পছন্দ করেন, এমন মানুষদের কাছে বাইরে খাওয়া মননশীল একটি কাজ। খাবার ভাগাভাগি, ছোট ছোট কথা বলা, আরেকজনের সময় মেনে উপস্থিত হওয়াটা তার কাছে যন্ত্রণার শামিল। বদলে যখন-যেখানে খুশি খেতে পারা এবং খাবারের স্বাদে সম্পূর্ণ মজে যেতেই বেশি আগ্রহী তারা।

সঠিক পোশাক পরা থাকলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়
ছবি: নকশা

প্রতিবছর ১ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পালিত হয় ‘সলো ডিনারস ইট’ সপ্তাহ। এ সময় রেস্তোরাঁয় গিয়ে একা খাবার উপভোগ করতে পারেন। পাশ্চাত্যেই এই ধারা বেশি জনপ্রিয়। পাশ্চাত্যে ১৯৮০ দশকে রেস্তোরাঁয় একা বসে খাওয়াকে নিরুৎসাহিত করা হতো। তবে ২০০০ সালে এসে এই ধারা আবার ফিরে আসতে থাকে। এবার অনেক দেশেই রেস্তোরাঁয় একা বসে খাওয়ার দিকে আগ্রহ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

একা খেতে যাওয়ার প্রস্তুতি

রেস্তোরাঁয় অনেকেই একা খেতে অস্বস্তি বোধ করেন। আবার মাঝেমধ্যে মনে হয়, গিয়ে খেতে পারলে খারাপ হতো না। দু–একটা পদ্ধতি আছে, প্রয়োগ করে দেখতে পারেন।

একটা তালিকা তৈরি করুন

প্রথমেই আপনার প্রিয় রেস্তোরাঁগুলোর তালিকা করুন। বিশেষ করে যেসব জায়গায় অনেক দিন ধরে খেতে যেতে চাচ্ছেন, কিন্তু বন্ধুদের সঙ্গে সময় না মেলার কারণে যেতে পারছেন না। তবে খেয়াল রাখুন রেস্তোরাঁটির খাবারের মেনু এবং পরিবেশের সঙ্গে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন কি না।

পোশাক নির্বাচন

সঠিক পোশাক পরা থাকলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। একক অভিযান শুরু করার আগে সময় নিয়ে পোশাক নির্বাচন করুন। উদ্দেশ্য যখন নিজেকে সময় দেওয়া, নিজের জন্যই না হয় সাজুন। তবে রেস্তোরাঁ অনুযায়ী পোশাক বেছে নিন। যে রেস্তোরাঁয় খেতে যাবেন, অনলাইনে সেটার মেনুতে কী রয়েছে, সেটাও একবার দেখে নিতে পারেন।

একা বসে খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আরও স্বাধীন হয়ে উঠবেন
ছবি: নকশা

সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করুন

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আপনার একা খাওয়ার ছবি পোস্ট করুন। কে জানে, এটি আপনার অনুসারীদেরও হয়তো অনুপ্রাণিত করবে।

আরও স্বাধীন হয়ে ওঠা

একা একা খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আরও স্বাধীন হয়ে উঠবেন। ঘরের বাইরে সময় কাটানোর জন্য কারও ওপর ভরসা করে থাকতে হবে না। অনেক সময় পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে খেতে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘদিন। সবার সময় মিলিয়ে দিনক্ষণ ঠিক করাটাও বিশাল হ্যাপা। নিজে নিজে খেতে গেলে এই দিনক্ষণ ঠিক করার ঝামেলায় আর পড়তে হয় না। অনেকে বিষয়টাকে হয়তো স্বার্থপর মানসিকতা হিসেবেই ধরে নেবেন। তবে এটিকে এত জটিল করে না ভাবতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। হঠাৎ মন খারাপ লাগলে, কফি পানে তো যাওয়াই যায়।

সূত্র: ভোগ, ন্যাশনাল টুডে