ছোট মাছ দিয়ে বানাতে পারেন এই ৩ স্বাদের তরকারি
মাংস তো অনেক হলো। স্বাদের একঘেয়েমি কাটাতে এবার নাহয় মাছের কাছে ফেরা যাক। ছোট মাছের সঙ্গে মেলাতে পারেন এ সময়ের সবজি। রেসিপি দিয়েছেন শুভাগতা দেবাশীষ
কাচকি মাছের বড়া
উপকরণ
কাচকি মাছ ১ কাপ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, আদাকুচি ১ চা-চামচ, কাঁচা মরিচকুচি ৬–৭টি, ধনেপাতা পরিমাণমতো, বেসন ৩ টেবিল চামচ, চালের গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদমতো, হলুদ ১ চা-চামচ, পানি সামান্য, চাট মসলা ১ চা-চামচ।
প্রণালি
কাচকি মাছ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। ধুয়ে নিতে হবে। কাচকি মাছের মধ্যে একে একে পেঁয়াজকুচি, আদাকুচি, কাঁচা মরিচকুচি, ধনেপাতাকুচি, বেসন, চালের গুঁড়া, লবণ, হলুদ ও সামান্য পরিমাণে পানি দিয়ে ভালো করে মাখাতে হবে। ডুবো তেলে বড়ার মতো করে ভাজতে হবে। ভালোভাবে ভেজে চাট মসলা দিয়ে ইচ্ছেমতো সাজিয়ে পরিবেশন করতে হবে।
ঝিঙে পোস্ত দিয়ে ট্যাংরা ঝোল
উপকরণ
ট্যাংরা মাছ ১০–১২টি, লবণ স্বাদমতো, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, সাদা তেল প্রয়োজনমতো, শুকনা মরিচ ৪–৫টি, কাঁচা মরিচ ৪–৫টি, আস্ত জিরা ২ চা-চামচ, পোস্ত ২ চা-চামচ, শর্ষে ২ চা-চামচ, পেঁয়াজকুচি সিকি কাপ, লম্বা করে কাটা আলু ৪ টুকরা, ঝিঙে ২টি লম্বা করে কাটা।
প্রণালি
মাছ পরিষ্কার করে ভালো করে ধুয়ে নিন। অল্প লবণ, হলুদগুঁড়া দিয়ে মাখান। হালকা করে ভেজে নিতে হবে। শুকনা মরিচ, কাঁচা মরিচ, জিরা, পোস্ত ও শর্ষে একসঙ্গে শিল পাটায় বেটে নিতে হবে। কড়াইতে তেল দিয়ে পেঁয়াজকুচি দিয়ে দিন। পেঁয়াজকুচি বাদামি রং হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। বাটা মসলা আর বাকি হলুদের গুঁড়া দিয়ে আরও কিছুক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে। কষানো শেষ হলে আলু দিতে হবে। আরও কিছুক্ষণ কষিয়ে প্রয়োজনমতো পানি দিন। এবার ঝিঙে দিতে হবে। পানি ফুটে উঠলে ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখতে হবে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরে নামিয়ে ফেলতে হবে।
কলাপাতায় কচুর লতি
উপকরণ
ছোট চিংড়ি মাছ ১ কাপ, কচুর লতি ১০–১২টি, লবণ স্বাদমতো, আস্ত জিরা ২ চা-চামচ, শুকনা মরিচ ৫–৬টি, কাঁচা মরিচ ৫–৬টি, রসুন কোয়া ১০–১২টি, কলাপাতা ৪ টুকরা, শর্ষের তেল ৪ টেবিল চামচ, পেঁয়াজকুচি ১ কাপ, হলুদগুঁড়া ১ চা-চামচ, লেবুর রস ১ টেবিল চামচ।
প্রণালি
চিংড়ি ভালো করে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। কচুর লতি পরিষ্কার করে টুকরা করে কেটে নিন। লবণ মাখিয়ে, ধুয়ে নিতে হবে। আস্ত জিরা, শুকনা মরিচ, কাঁচা মরিচ, রসুন বেটে নিন। কড়াইতে তেল ব্রাশ করে ২টি কলাপাতা বিছিয়ে দিন। কলাপাতার ওপরে তেল ব্রাশ করতে হবে। ওর মধ্যে চিংড়ি মাছ, কচুর লতি, বাটা মসলা, পেঁয়াজকুচি, হলুদগুঁড়া, লবণ, শর্ষের তেল মাখাতে হবে। কলাপাতা দিয়ে ভালো করে ঢেকে দিন। ওপরে শক্ত কিছু দিয়ে চাপা দিয়ে রাখতে হবে। ১০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে দেখুন। সেদ্ধ না হলে আবারও ঢাকনা দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন। কচুর লতি সেদ্ধ হয়ে গেলে লেবুর রস ছড়িয়ে নামিয়ে ফেলতে হবে।