যশোরে এই জিলাপি মাত্র এক মাসই তৈরি হয়

যশোরের রেশমি জিলাপি
ছবি: প্রথম আলো

সাধারণ জিলাপিতে থাকে আড়াই প্যাঁচ। কিন্তু রেশমি জিলাপিতে পাটের সুতার মতো চিকন ১৪ থেকে ১৫ প্যাঁচ। বেশি প্যাঁচের কারণে জিলাপির ভেতরে চিনির শিরা কম ধারণ করতে পারে। ফলে এই জিলাপির মিষ্টতা তুলনামূলক কম, কিন্তু স্বাদ বেশি। যশোর শহরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সড়কে ক্যাফে প্রেসক্লাবে শুধু পবিত্র রমজানে তৈরি করা হয় এ জিলাপি।

কারিগরেরা জানান, রেশমি জিলাপি তৈরির বিশেষ পদ্ধতি আছে। সাধারণ জিলাপির তুলনায় এই জিলাপি তৈরির উপাদানও ভিন্ন। ক্যাফে প্রেসক্লাবের স্বত্বাধিকারী নূর ইসলাম বলেন, ‘২০১৫ সালে প্রথম রেশমি জিলাপি তৈরি শুরু করা হয়। একজন কারিগর ও দুজন সহকারী মিলে প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ২০ থেকে ৩০ কেজি জিলাপি তৈরি করেন। এই জিলাপি মাত্র এক মাস তৈরি করা হয় বলে স্থায়ী কারিগরও নিয়োগ দেওয়া হয় না। এই জিলাপি তৈরির কারিগরও যশোরে নেই।’ প্রতি কেজি ২৮০ টাকা।

আরও পড়ুন

উপকরণ

আধা কেজি ছোলার বেসন, আধা কেজি মাষকলাইয়ের ডাল, ১ কেজি ময়দা, ১২৫ গ্রাম ঘি, এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ পরিমাণমতো, আধা কেজি শর্ষের তেল, আধা কেজি সয়াবিন তেল ও আড়াই কেজি চিনির শিরা।

প্রণালি

আগের রাতে মাষকলাইয়ের ডাল পরিষ্কার করে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড বা পাটায় বেটে নিতে পারেন। ব্লেন্ড করা ডাল লেই বা ক্রিমের মতো হবে। এরপর এলাচি, দারুচিনি, লবঙ্গ মিহিভাবে গুঁড়া করে নিন। ময়দা, ছোলার বেসন, গুঁড়া করা গরমমসলা, ঘি ও শর্ষের তেল মিশিয়ে খামির তৈরি করুন। এরপর চুলায় সয়াবিন তেল গরম করুন। গরম তেলের ভেতরে ১৪ থেকে ১৫ প্যাঁচ দিয়ে জিলাপির কাঠামো তৈরি করতে হবে। পরে সেই জিলাপি চিনির গরম শিরা বা রসে ডুবিয়ে তুললেই তৈরি হয়ে যাবে গরম-গরম রেশমি জিলাপি।