এক হাজার টাকার ঝালমুড়ি!

‘ঢাকাইয়া মুড়িভর্তা’য় বিক্রি হচ্ছে এই এক হাজার টাকা দামের ঝালমুড়ি
ছবি : সংগৃহীত

ঝালমুড়ির দাম এক হাজার টাকা! জি, ঠিকই পড়েছেন। ‘ঢাকাইয়া মুড়িভর্তা’য় বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকা দামের ঝালমুড়ি। রাজধানীর খিলগাঁওয়ে এই ঝালমুড়ির দোকানের অবস্থান।

এই ঝালমুড়িতে কী এমন থাকে যে দাম এক হাজার টাকা? এমন প্রশ্নের উত্তরে ঢাকাইয়া মুড়িভর্তা দোকানের পক্ষ থেকে জানানো হলো, এই মুড়ির প্লেটে মাখানো মুড়ির সঙ্গে থাকে আস্ত একটি হাঁস। শীতকালে হাঁসের নানা পদ তো খেয়েছেন নিশ্চয়ই, তবে মুড়ির সঙ্গে হাঁস! ব্যাপারটা একটু অন্যরকম। ধনেপাতা, শসা, টমেটো, পেঁয়াজ, মরিচ, ঘুগনিসহ হরেক রকম মসলা তো আছেই। এই মুড়ির সঙ্গে তারা ব্যবহার করে মসলার একটি গোপন রেসিপি। আর এক হাজার টাকার এই হাঁসের ঝালমুড়ি খেতে চাইলে অবশ্যই আগেভাগে বলে রাখতে হবে। কেননা, স্পেশাল আইটেমের প্রস্তুতিটাও একটু স্পেশাল। বাজার থেকে হাঁস কিনে, কেটে-ধুয়ে বিশেষ পদ্ধতিতে রান্না করে মুড়ির সঙ্গে পরিবেশন করা হয়। পুরো কাজটাই তারা নিজেরা করে থাকে।

ধনেপাতা, শসা, টমেটো, পেঁয়াজ, মরিচ, ঘুগনিসহ হরেক রকম মসলা দেওয়া হয় মুড়িমাখায়
ছবি : অগ্নিলা আহমেদ

আর আপনি যদি হাঁসের মাংসের ভক্ত না হন, তাহলে আপনার জন্য রয়েছে অন্য স্পেশাল আইটেম। যেমন ডিম, মুরগির মাংস, গরুর কালা ভুনা, গরুর কলিজা দিয়ে মুড়িমাখা। আইটেম অনুযায়ী দাম পড়বে ২৫ থেকে ১০০০ টাকা। সুতরাং, আপনার ফরমাশ ও টাকা দুটিরই দাম আছে ঢাকাইয়া মুড়িভর্তার কাছে। খুব কম খরচে ঝটপট ক্ষুধা নিবারণের জন্য আমরা অনেকেই ঝালমুড়ি খেতে পছন্দ করি। ১০-২০ টাকার ঝালমুড়ি খেয়ে পেট পুরোপুরি না ভরলেও এক হাজার টাকার ঝালমুড়িতে নিশ্চয়ই মন আর পেট দুটিই ভরবে।

ছোট্ট দোকান, তবু সবসময় থাকে ক্রেতাদের আনাগোনা
ছবি : অগ্নিলা আহমেদ

দোকানে গিয়ে দেখা গেল মানুষের ভিড়। ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়ল বড় একটি গামলা। সেখানে ঘুগনি, কুচি করে কেটে রাখা পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, বোম্বাই মরিচ, টমেটো, শসা ও ধনেপাতা। এসব সাধারণ উপকরণ দিয়ে আগে ভালো করে মেখে নেওয়া হচ্ছে মুড়ি। পর্যায়ক্রমে সব উপকরণ দেওয়ার পর ক্রেতার ইচ্ছা অনুযায়ী আড়াল করে রাখা বাক্স থেকে দেওয়া হচ্ছে মুরগি বা গরুর মাংসের স্পেশাল মসলা ও তেল। ক্রেতার ইচ্ছার দিকে বাড়তি খেয়াল রাখে বলেই তাঁদের আবদারে ঝাল বা লবণ কমবেশি করতেও তাদের আপত্তি নেই। বলে রাখা ভালো, ঢাকাইয়া মুড়িভর্তার বিক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মুড়ি মাখেন ও পরিবেশন করেন।

ঢাকাইয়া মুড়িভর্তার মুড়ি খেতে খিলগাঁও আর আশপাশের লোকজন ছাড়াও দূরদূরান্ত থেকে ক্রেতারা আসেন। সে কারণে দোকানটি সপ্তাহের সাত দিনই খোলা থাকে।