গুড়ের কত গুণ

আয়ুর্বেদশাস্ত্রে বিভিন্ন চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় গুড়
ছবি : নকশা

শীতকালে পিঠাপুলি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় নলেন গুড় বা খেজুরের গুড়। শুধু স্বাদের জন্যই না, গুড়ের রয়েছে নানা স্বাস্থ্যকর গুণ। দীর্ঘ সময় ধরে আয়ুর্বেদশাস্ত্রে বিভিন্ন চিকিৎসায় গুড় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রস থেকে তৈরি এই গুড়ে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকায় এটি দেহের জন্য দারুণ উপকারী। ১০০ গ্রাম খেজুরের গুড়ে থাকে ১.৫ গ্রাম প্রোটিন, ০.৩ গ্রাম ফ্যাট, ৮৫.৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং ২.৫ গ্রাম আঁশ। এ ছাড়া এই গুড় থেকে সামান্য পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক, কপার ও ক্লোরাইড পাওয়া যায়।

গুড় দিয়ে তৈরি খাবারেও আছে নানা পুষ্টিগুণ
ছবি : নকশা

গুড়ের উপকারিতাগুলো হলো—

১. গুড়ে পর্যাপ্ত আয়রন আছে। এটি রক্তস্বল্পতা রোধে সাহায্য করে।

২. উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে গুড় খেতে পারেন। নিয়মিত গুড় খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৩. শরীরের ভেতর থেকে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে ও চুল ভালো রাখতে সাহায্য করে গুড়।

৪. হজমপ্রক্রিয়া উন্নতি করতে গুড় সাহায্য করে।

৫. লিভার পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

৬. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

গুড়, শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করতে সাহায্য করে
ছবি : নকশা

৭. দেহের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।

৮. গুড়ের আছে রক্ত ​​পরিশোধনক্ষমতা। রক্ত পরিষ্কার থাকলে কমে অনেক রোগের ঝুঁকি।

৯. অ্যান্টিটক্সিক বা শরীর থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করতে সাহায্য করে।

১০. মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে গুড় উপকারী। এটি নিয়মিত সেবনে স্মৃতিশক্তি ভালো থাকে।

১১. এর আছে অ্যান্টিকার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্য, যা ক্যানসারবিরোধী উপাদান হিসেবে কাজ করে।

১২. গুড় খেলে চোখের দুর্বলতা দূর হয়। শুধু তা–ই নয়, গুড় দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে খুবই সহায়ক।