সুস্থ থাকতে ভালো খাবারের বিকল্প নেই। কর্মময় সুখী জীবনের জন্য শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে আমরা নানা উপায় অবলম্বন করি। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম পুষ্টিকর খাবার। কোন খাবারে কেমন পুষ্টি, তা পর্যালোচনা করে খাদ্যতালিকায় রাখলে সুস্থ আর কর্মক্ষম থাকা যায়। তেমনই এক পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ খাবার হলো ‘রাইস বন্ধু’। নিশ্চয়ই ভাবছেন ‘ভাতের বন্ধু’—এটা আবার কী? এই রাইস বন্ধু হলো বিরিয়ানি সিজনিং মিক্স। এটা আপনি ভাতের সঙ্গেও মিশিয়ে খেতে পারবেন। রাইস বন্ধুর প্রধান উপাদান ‘ইউগ্লেনা’, যা জাপানের সমুদ্রপৃষ্ঠে উৎপাদিত একধরনের পুষ্টিকর খাবার। এটি ‘মেরিন ভেজিটেবল’ নামে পরিচিত। যদিও আদতে এটি এককোষী প্রাণী।
এ সম্পর্কে পারসোনা হেলথের পুষ্টিবিদ শওকত আরা সৈয়দা লোপা বলেন, ‘রাইস বন্ধুর পুষ্টিগুণ বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হবে ইউগ্লেনার কথা। জাপানের ওকিনাওয়া দ্বীপে সমুদ্রপৃষ্ঠে উৎপাদিত এই মেরিন ভেজিটেবল ৫৯ রকমের পুষ্টি–উপাদানে ভরপুর। ইউগ্লেনাতে থাকা উচ্চমূল্যের পুষ্টির জন্য সারা বিশ্বে মানুষ ও প্রাণীর খাবার হিসেবে এটি সুপার ফুড এবং ফুড সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। উন্নত দেশগুলোতে বাড়তি পুষ্টি পাওয়ার জন্য ইউগ্লেনা ব্যবহার করা হয়।’ রাইস বন্ধুর প্রতি প্যাকেটের দাম মাত্র ১০ টাকা।
ইউগ্লেনা প্ল্যান্ট অ্যানিমেল হাইব্রিড। ইউগ্লেনাতে ভিটামিন বি এবং সির মতো প্রায় ১৪ ধরনের ভিটামিন থাকে। আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের মতো ৯ ধরনের মিনারেলস, লাইসিন ও অ্যালানিনের মতো ১৯ ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং ডিএইচএ ও এইএইএর মতো উপকারী প্রায় ১২ ধরনের আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, ৬ ধরনের শক্তিবর্ধক উপাদান থাকে ইউগ্লেনাতে। মোটকথা, এটি প্রোটিন, ফাইবার রিচ, ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি১২, ই, কে, জিংক, আয়রন ও বেটা ক্যারোটিনসমৃদ্ধ একটি পুষ্টি উপাদান। এটি সহজে পাউডার ফর্মে নেওয়া যায়। এই খাবার রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, শক্তি বাড়ায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, ত্বক সুন্দর রাখে, সর্বোপরি আপনাকে সুস্থ ও সবল রাখে।
রাইস বন্ধু ইন্সট্যান্ট ভাতের সঙ্গে মিশিয়ে কিংবা রান্না করে—উভয় পদ্ধতিতে খাওয়া যায়। জাপানিরা সাধারণত ইন্সট্যান্ট মিশিয়ে খেতেই পছন্দ করে। তবে আপনি চাইলে পছন্দ অনুযায়ী সবজি, ডিম, মাংস বা মাছ হালকা তেলে পেঁয়াজের সঙ্গে ভেজে ভাত আর রাইস বন্ধু মিশিয়েও খেতে পারেন। তাতে প্রতিদিনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা সহজ হয়।
উল্লেখ্য, রাইস বন্ধু বাজারে এনেছে দেশের অন্যতম বৃহত্তম স্ন্যাকস ব্র্যান্ড ‘বম্বে সুইটস’। বম্বে সুইটসের পথচলা ১৯৪৮ সাল থেকে। প্যাকেটে চানাচুর বিক্রি থেকে শুরু করে ১৯৮৫ সালে প্রথম প্যাকেটজাত ‘রিং চিপস’ এবং ১৯৮৮ সালে অন্যতম জনপ্রিয় চিপস ব্র্যান্ড ‘পটেটো ক্র্যাকারস’ বাজারে আনে তারা। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বম্বে সুইটস কখনো চিপস, কখনো নতুন কোনো ফ্লেভারে চানাচুর কিংবা একদমই নতুন ধরনের স্ন্যাকস আইটেম দিয়ে বাজারে তাদের উপস্থিতি ধরে রেখেছে।