কাঠবাদাম বেশি খেলে কী হবে?

অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। এমনকি কাঠবাদামও নয়!


বাদাম খাওয়া এমনিতে খুবই ভালো। বিশেষ করে কাঠবাদামের গুণের শেষ নেই। স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট, ভিটামিন ই আর ফাইবারে ভরপুর কাঠবাদাম। এটি স্বাস্থ্য, চুল, ত্বক ও রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার জন্য খুবই উপকারী। তবে আপনাকে বুঝতে হবে স্বাস্থ্যকর জিনিস অতিরিক্ত খেলেই যে বেশি উপকার পাবেন, তা নয়। যেকোনো খাবার থেকে সর্বোচ্চ পুষ্টি পেতে ভারসাম্য বজায় রেখে খাওয়া খুবই জরুরি।

কাঠবাদাম
ছবি: পেক্সেলস ডটকম

যেকোনো কিছু বেশি খেলে হজমে গোলযোগ দেখা দিতে পারে, পুষ্টি ব্যবস্থায় হয়ে যেতে পারে গড়বড়। একনজরে দেখে নেওয়া যাক মাত্রাতিরিক্ত কাঠবাদাম খেলে কী হবে—


১. অতিরিক্ত ভিটামিন ই–এর বিষক্রিয়া দেখা দিতে পারে


ভিটামিন ই শরীরের জন্য খুবই জরুরি। বিশেষ করে ত্বক, চোখ ও রোগ প্রতিরোধব্যবস্থার জন্য ভিটামিন ই-এর কোনো বিকল্প নেই। কাঠবাদাম ভিটামিন ই-এর খুবই গুরুত্বপূর্ণ উৎস। তবে আপনি যদি অতিরিক্ত কাঠবাদাম খান, যেমন এক দিনে যদি আড়াই গ্রামের বেশি (আপনার ওজন যদি হয় ৫০ কেজি) খেয়ে ফেলেন, তাহলে অতিরিক্ত ভিটামিন ই-এর প্রভাবে আপনার পেটের ভেতর বিষক্রিয়া হতে পারে। ফলে বদহজম, ডায়রিয়া, পেটব্যথাসহ নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। এ ছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাও উল্টো কমে গিয়ে শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে। শরীরের যেকোনো ক্ষত সারতে দেরি হতে পারে। সহজেই আক্রান্ত হতে পারেন যেকোনো সংক্রামক রোগে।

২. ওজন বাড়তে পারে


কাঠবাদাম প্রচুর ক্যালরি আর ফ্যাটে পরিপূর্ণ। তাই আপনি যদি প্রতিদিন বেশি বেশি কাঠবাদাম খান, আপনার ওজন বাড়তে বাধ্য। কেননা, আমাদের শরীর অতিরিক্ত ক্যালরি ফ্যাট হিসেবে জমা রাখে। আর ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।


৩. কিডনিতে পাথর হতে পারে


কাঠবাদাম প্রচুর পরিমাণে অক্সালেট তৈরি করে, এটা খুবই জরুরি একটা উপাদান। কেননা, প্যাথোজেনসহ নানা রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। কিন্তু আপনি যদি অতিরিক্ত কাঠবাদাম খান, তাহলে অতিরিক্ত অক্সালেট আপনার কিডনিতে জমে তা একসময় পাথরের রূপ নিতে পারে। ফলে পেটে ব্যথা থেকে শুরু করে অস্ত্রোপচারের বেড পর্যন্ত দৌড়াতে হতে পারে আপনাকে। কিডনির জন্যও বয়ে আনতে পারে মারাত্মক হুমকি।

অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। এমনকি কাঠবাদামও নয়!
ছবি: পেক্সেলস ডটকম

৪. হজমে গোলযোগ


কাঠবাদামে ফাইটিক অ্যাসিড নামে একটা উপাদান থাকে। এটি ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্কের মতো উপাদানগুলো শরীরে শোষিত হতে সাহায্য করে। কিন্তু ফাইটিক অ্যাসিড বেশি হয়ে গেলে এই মিনারেলগুলো জটিল পদার্থে পরিণত হয়। তখন সেগুলো হজমে গোলযোগ ঘটায়।