ভারী খাবারের পর হজমে সহায়তা করবে এসব পানীয়

ঈদের সময় না চাইলেই অনেক সময় ভারী খাবার খাওয়া হয়ে যায়ছবি: প্রথম আলো

ঈদের সময়টায় একটু ভারী খাবারদাবার খাওয়া হয়েই যায়। হজমে সহায়ক হিসেবে নানা ধরনের পানীয় গ্রহণের প্রচলন রয়েছে, তবে এগুলোর সবই যে হজমে সহায়ক, তা কিন্তু নয়। আবার অনেক পানীয় স্বাস্থ্যকরও নয়। খাবার খাওয়ার পর যে তরল গ্রহণ করা সবচেয়ে ভালো, তা হলো পানি।

এর বাইরেও অবশ্য রসনায় তৃপ্তি পেতে সুস্বাদু পানীয় গ্রহণ করা হয়ে থাকে। তবে পানি বা পানীয় যা-ই পান করা হোক না কেন, তা খেতে হবে খাবার খাওয়ার অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর। এমনটাই জানালেন রাজধানীর গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লায়েড হিউম্যান সায়েন্সের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শম্পা শারমিন খান। হজমসহায়ক পানীয় সম্পর্কে আরও কিছু বিষয় জেনে নেওয়া যাক তাঁর কাছ থেকেই—

ভারী খাওয়ার পর পান করতে পারেন বোরহানি
ছবি: প্রথম আলো
  • বাড়িতে টক দই দিয়ে পানীয় তৈরি করতে পারেন। চাইলে এর সঙ্গে মেশাতে পারেন খানিকটা মিষ্টি দইও। বোরহানি খেতে পারেন।

  • হালকা পানীয় গ্রহণ করতে পারেন ভারী খাবারের পর। লেবুর রস আর সামান্য লবণ মিশিয়ে পানীয় তৈরি করতে পারেন। এতে যোগ করতে পারেন পুদিনাপাতাও। কিংবা সামান্য বিট লবণ দিয়ে তেঁতুলপানি খেতে পারেন।

বাড়িতে জিরাপানি তৈরির জন্য টেলে নিতে হবে জিরা
ছবি: প্রথম আলো
  • জিরাপানিও খেতে পারেন। তবে জিরাপানি তৈরির জন্য বাড়িতে জিরা টেলে নিতে হবে। প্যাকেটের জিরা দিয়ে পানীয় বানাবেন না।

  • কাঁচা আম, পাকা আম, মাল্টা, কলাসহ নানান ফল দিয়েই হতে পারে পানীয়। মিল্কশেক বা স্মুদি করা যায়। তবে এ ধরনের ভারী পানীয় তৈরি করলে তা খাবার খাওয়ার পরে নয়, বরং বিকেলে বা সন্ধ্যায় খেতে পারেন।

  • চিনি ছাড়া পানীয় গ্রহণের অভ্যাস করা ভালো।

খাওয়ার মধ্যে পানি বা অন্য কোনো পানীয় গ্রহণ করা উচিত নয়; কেবল প্রয়োজন হলে সামান্য পরিমাণে গ্রহণ করতে পারেন। পানিশূন্যতা এড়াতে অবশ্যই পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে রোজ।