মাছ, মাংস গ্রিল করার আগে এবং পরে যা করতে হবে

একটা সময় ছিল যখন শীত এলেই চড়ুইভাতি বা বনভোজন শুরু হয়ে যেত। এখনো কদাচিৎ দেখা যায় সেই দৃশ্য। পাশাপাশি শীতে দেখা যায় গ্রিল পার্টির আয়োজন। ইটের চুলা বা গ্রিলে পোড়ানো হয় মাছ, মাংস বা হাঁস। তবে এসব খাবারের উপকরণ কিংবা রান্নার পদ্ধতি সঠিকভাবে জানা না থাকলে খাবার তৈরির পুরো চেষ্টাই হতে পারে ব্যর্থ।

শীতে দেখা যায় গ্রিল পার্টির আয়োজন
ছবি: নকশা

যেকোনো মাঝারি কিংবা বড় মাছ দিয়েই গ্রিল ফিশ তৈরি করা যায়। তবে কাঁটা কম থাকলেই ভালো। সয়া সস, ফিশ সস, লেবুর রস, গোলমরিচের গুঁড়া, বারবিকিউ সস, সামান্য জলপাই তেল মেখে কয়লার আগুনে গ্রিল করে নিলেই চলে। দেশীয় স্বাদে খেতে চাইলে আদাবাটা, রসুনবাটা, মরিচগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, লবণ, লেবুর রস, শর্ষের তেল মেখে গ্রিল করে নিতে পারেন। মাছের পানি ভালোভাবে ঝরিয়ে মসলা মেখে ১০ মিনিট রেখে দেবেন। এরপর গ্রিল করবেন।

গ্রিল করার আগে জেনে নিতে হবে উপকরণ এবং রান্নার সঠিক পদ্ধতি
ছবি: নকশা

মাংস গ্রিল করলে মসলা মেখে রাখতে হয় অনেকক্ষণ। মুরগি অথবা হাঁসের মাংসে মসলা মাখার আগেই ছুরি দিয়ে দাগ করে কেটে নেবেন। আগে ভালোভাবে পানি ঝরিয়ে নিন। আদাবাটা, রসুনবাটা, লাল মরিচগুঁড়া, জিরাগুঁড়া, ধনেগুঁড়া, গোলমরিচের গুঁড়া, টক দই, শর্ষের তেল মেখে ২–৩ ঘণ্টা রেখে দেবেন। হাঁসের মাংসে জায়ফল, জয়ত্রীর গুঁড়া, লবঙ্গ ও মেথিগুঁড়া দিতে পারেন সামান্য। রং সুন্দর করতে চাইলে জর্দার রং দেওয়া যায়। গুঁড়া মসলা ব্যবহার কম করে বাজারের তন্দুরি মসলাও ব্যবহার করতে পারবেন। এ ছাড়া বারবিকিউ সস, তেঁতুলের পিউরি, গুড় অথবা চিনি, মরিচের গুঁড়া, গোলমরিচের গুঁড়া মেখেও মুরগি, খাসির মাংস অথবা হাঁসের মাংস বারবিকিউ করে খেতে পারেন।

মাংস গ্রিল করলে মসলা মেখে রাখতে হয় অনেকক্ষণ
ছবি: নকশা

গ্রিল শেষে

গোটা খাসি গ্রিল করলে কাঁটা চামচ অথবা ছুরি দিয়ে কেচে নেবেন। সব মসলা, টক দই, শর্ষের তেল ছাড়াও এতে সামান্য কাঁচা পেঁপেবাটা দেবেন। কয়েক ঘণ্টা মেখে রাখবেন। এতে মাংসের ভেতর মসলা যাবে এবং সেদ্ধ হবে ভালো করে।

আয়োজন ছাড়া নিজেদের খাবার জন্য গ্রিল প্যানেও তৈরি করতে পারেন। মাংসের টুকরা গ্রিল হওয়ার পর একটা কয়লা আগুনে পুড়িয়ে নিন। অল্প তেল বা ঘি ওপরে দিয়ে গ্রিল মাংস ঢেকে দিন। ৫ মিনিট পরই তন্দুরি স্মোকি ফ্লেভার বা ধোঁয়ার গন্ধ মাংসে চলে আসবে।

লেখক: রন্ধনবিদ